৩৭০ ধারার আওতায় জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে বিভক্ত করার এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পদত্যাগ করলেন উপত্যকার প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর গিরীশ চন্দ্র মুর্মু। গিরীশচন্দ্র মুর্মু ছিলেন ১৯৮৫ সালের গুজরাট ক্যাডারের আইএএস অফিসার। নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি সে রাজ্যের প্রধান সচিব ছিলেন।
সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সূত্রে খবর জিসি মুর্মু তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। রাষ্ট্রপতিভবনের তরফে জানান হয় সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি। লেফটেন্যান্ট গভর্নর একটি সাংবিধানিক পদ। বেশি দিন এই পদ ফাঁকা রাখা যায় না। দ্রুত কাউকে নিয়োগ না করলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিতে পারে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই জম্মু-কাশ্মীরের নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে মনোজ সিনহার হাতে।
আরও পড়ুন, আগুনের গ্রাসে কোভিড হাসপাতাল, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৮ রোগী
তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত বছর যে দিনে ৩৭০ ধারার বিলোপ হয়েছিল ঠিক সেই দিনই পদত্যাগ করলেন জিসি মুর্মু। গত বছর নভেম্বরে ছিল জিসি মুর্মুর অবসর। কিন্তু তার আগেই অক্টোবরে দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল করা হয় তাঁকে। বুধবারই শ্রীনগর ছেড়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দিল্লি পৌঁছনোর কথা রয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগে সংবাদমাধ্যমকে জানান জিসি মুর্মুর মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। তাঁদের বক্তব্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি তাঁর। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মুর্মু বলেছিলেন, "অনির্দিষ্টকালের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে রাষ্ট্রপরি শাসন চলতে পারে না। নির্বাচন কিন্তু খুব বেশি দূরে নয়।"
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন