জেএনইউকাণ্ডে নতুন করে ধুন্ধুমার রাজধানীতে। আবারও পড়ুয়াদের উপর লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠল দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক ‘সন্তোষজনক না হওয়ায়’ রাষ্ট্রপতি ভবন অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন পড়ুয়ারা। এরপরই পড়ুয়াদের মিছিল আটকায় পুলিশ। এ সময়ই পুলিশের সঙ্গে পড়ুয়াদের গোলমাল বাধে। পরিস্থিতি সামলাতে পড়ুয়াদের উপর ‘লাঠি চালায়’ পুলিশ। কয়েকজন পড়ুয়াকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার ঐশী ঘোষরা। কিন্তু উপাচার্যের পদত্যাগ কোনও সমাধান নয় বলে জানিয়ে দেয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। এরপরই রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে মিছিল এগোনোর সিদ্ধান্ত নেন পড়ুয়ারা।
#WATCH Delhi Police remove women protesters while they were marching towards Rashtrapati Bhavan. Students are demanding removal of the Jawaharlal Nehru University's Vice Chancellor following Jan 5 violence in the campus. pic.twitter.com/HzT2AjkZF5
— ANI (@ANI) January 9, 2020
উল্লেখ্য, জেএনইউ-তে মুখোশধারীদের হামলার প্রতিবাদে আজ দিল্লির রাজপথে নামে নাগরিক সমাজ। দিল্লির মান্ডি হাউস থেকে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক পর্যন্ত জেএনইউ ছাত্র সংসদের উদ্যোগে পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল। মিছিলে যোগ দেন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। মান্ডি হাউসে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন সীতারাম ইয়েচুরী, শরদ যাদবরা। পদযাত্রা ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়। এদিন, জেএনইউ-র গেটে পড়ুয়াদের মিছিল আটকায় পুলিশ। ক্যাম্পাসের বাইরে পড়ুয়াদের মিছিল নিয়ে যেতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
JNUSU president Aishe Ghosh at the march. @IndianExpress @ieDelhi pic.twitter.com/u1E5h3amfD
— Anya Shankar (@AnyaShankar) January 9, 2020
আরও পড়ুন: ‘জেএনইউ-তে সাজানো ঘটনা, রক্ত না লাল রং?’,
উল্লেখ্য, গত রবিবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখে কাপড় বেঁধে হামলা চালান কয়েকজন। হামলায় জখম হন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ ৩৬ জন। হামলার অভিযোগ উঠেছে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ।
संघी देहशतगर्दी हैं
उसके पीछे वर्दी हैं। #VCHatao pic.twitter.com/Wqz4I8fsM6— JNUSU (@JNUSUofficial) January 9, 2020
আরও পড়ুন: জেএনইউতে আহতদের সঙ্গে দেখা করেননি কেন? ‘আমার দরজা খোলা রয়েছে’, জবাব উপাচার্যের
অন্যদিকে, হামলার ৪ দিন পরও অভিযুক্তরা অধরা। যদিও বুধবার সূত্র মারফৎ জানা যায়, হামলাকারী মুখোশধারীদের মধ্যে কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে, এখনও অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় ফুঁসছে বিভিন্ন মহল। অন্যদিকে, সার্ভার রুম ভাঙচুরের অভিযোগে আক্রান্ত ঐশী-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
Delhi Police is here to stop us. They, however, could not stop the ABVP terrorists during the #JNUTerrorAttack.
We are protesting the attack on our President, on our students and on our Professors.
You should not have dared to attack JNU.
We shall fight, we shall win. #VCHatao pic.twitter.com/1cz8mXKdO7— JNUSU (@JNUSUofficial) January 9, 2020
আরও পড়ুন: জেএনইউকাণ্ড: হোয়াটসঅ্যাপই কি মুখোশ খুলল এবিভিপির?
টুইটারে জেএনইউ ছাত্র সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘আমাদের প্রতিরোধ করবে দিল্লি পুলিশ। জেএনইউতে জঙ্গি হামলার সময় এবিভিপির জঙ্গিদের রুখতে পারেনি। আমাদের সভানেত্রী ও অধ্যাপকদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব, আমাদের জয় হবেই’’।
মুখোশধারীদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে জেএনইউ প্রাঙ্গন, প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। এই আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান কমিটি থেকে সরে দাঁড়ান অর্থনীতিবিদ তথা জেএনইউ অধ্যাপক সি পি চন্দ্রশেখর। ২৮ সদস্যকে নিয়ে নবনির্মিত পরিসংখ্যান কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা সোমবার জানান ওই অধ্যাপক। জেএনইউ-র ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে বলিউডও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেএনইউ গিয়ে নিঃশব্দে ঐশীদের পাশে থাকার বার্তা দেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।