জেএনইউ ক্যাম্পাসে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় নয়া মোড়। রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই জেএনইউ ক্যাম্পাসের সেদিনের অনুষ্ঠান ঘিরে পরিকল্পিতভাবে বিতর্ক বাঁধানো হয়েছিল, এমন বিস্ফোরক দাবিই করলেন দুই প্রাক্তন এবিভিপি সদস্য। যতীন গোরাইয়া ও প্রদীপ নরওয়াল নামে জেএনইউ-এর দুই প্রাক্তনীর আরও দাবি, একটি সংবাদ চ্যানেলের যে ভিডিওতে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান শোনা গিয়েছে, সেখানে এবিভিপি সদস্যরাই ছিলেন।
দেশদ্রোহিতার মামলায় ইতিমধ্যেই কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যের নামে চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। যে চার্জশিট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এহেন প্রেক্ষাপটে জেএনইউ-এর দুই প্রাক্তনীর এই দাবি ঘটনার মোড় ঘোরালো বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রদীপ বলেন, "যেহেতু যতীন ও আমি দলিত, ভেমুলার মৃত্যুর পর এবিভিপির স্বপক্ষে আমাদের টিভিতে সাক্ষাৎকার দিতে জোর করা হয়েছিল। আমরা এ প্রস্তাব মেনে নিইনি, কারণ ওঁকে জঙ্গি বলে দাবি করা হয়েছিল। ৯ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গোটা ঘটনার নজর ঘোরানোর পরিকল্পনা ছিল।" যতীনের দাবি, ৯ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানের আগে জেএনইউ এবিভিপি-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এবিভিপি থেকে ইস্তফা দেন ওই দুই জেএনইউ প্রাক্তনী।
আরও পড়ুন, দেশদ্রোহিতা মামলায় চার্জশিটে কানহাইয়া কুমারের নাম
যদিও প্রদীপ ও যতীনের এই দাবি নস্যাৎ করে জেএনইউএসইউ-র প্রাক্তন যুগ্ম সম্পাদক সৌরভ শর্মা বলেছেন, "ওঁরা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। রাহুল গান্ধীর নির্দেশেই ওঁরা সাংবাদিক বৈঠক করেছেন।" উল্লেখ্য, প্রদীপ কংগ্রেসে যোগ দিলেও, এখনও কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরেননি যতীন।
Read the full story in English