দেশদ্রোহিতা মামলায় চার্জশিটে কানহাইয়া কুমারের নাম দিল দিল্লি পুলিশ। ওই চার্জশিটে একই সঙ্গে নাম রয়েছে জেএনইউয়ের উমর খলিদ এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্যেরও। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জেএনইউ ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন দেশবিরোধী শ্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পাতিয়ালা হাউস কোর্ট মঙ্গলবার ওই চার্জশিট খতিয়ে দেখবে।
কানহাইয়া কুমার এবং আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ১২৪ এ (দেশদ্রোহিতা), ৩২৩ (জ্ঞাতসারে আহত করা), ৪৬৪ (জালিয়াতি), ৪৭১ (জাল নথিকে প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার), ১৪৩ (বেআইনি ভাবে জড়ো হওয়া), ১৪৯ (একই উদ্দেশ্যে বেআইনি ভাবে জড়ো হওয়া), ১৪৭ (দাঙ্গাহাঙ্গামা) এবং ১২০ বি ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ যোগী সরকারকে
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল পাতিয়ালা হাউস কোর্টে এই পিটিশন দাখিল করেছে। ঘটনার বেশ কয়েকদিন পরে, এঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সংসদ হামলায় সাজাপ্রাপ্ত আফজল গুরুর ফাঁসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন অভিযুক্তরা। এফআইআরে বলা হয়েছে, ওই প্রোগ্রাম চলাকালীন দেশবিরোধী শ্লোগান দেওয়া হয়েছিল।
সে সময়ে জেএনইউ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ছিলেন কানহাইয়া কুমার। তিনি বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই চার্জশিট দাখিল রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সংবাদসংস্থা এএনআই কানহাইয়া কুমারকে উদ্ধৃত করেছে। তিনি বলেছেন, “চার্জশিট দাখিলের খবর যদি সত্যি হয়, তাহলে আমি পুলিশ এবং মোদীজিকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তিন বছর পর, ভোটের আগে চার্জশিট দাখিলের ঘটনা পরিষ্কার দেখিয়ে দিচ্ছে যে ব্যাপারটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশের বিচারব্যবস্থার ওপর আমার আস্থা রয়েছে।“
Read the Full Story in English