হস্টেলের ফি বেড়েছে। প্রতিবাদে উত্তাল জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্য়ালয়। উপাচার্য সহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চলছে প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান, দেওয়াল লিখন। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে রাখা স্বামী বিবেকানন্দের একটি মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপরই আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। বিশ্বদ্যালয়ে ভাঙচুর চালানো ও সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে আন্দোলনকারী ১০ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হতে পারে।
জেএনইউ-এর এক আধিকারিক বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করেছি। তাদের চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ। কড়া পদক্ষেপ কী করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় ভাঙচুর, সম্পত্তি নষ্টের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। সমস্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।' তবে শোকজ নোটিশ এখনও কাউকে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: জেএনইউ-তে ভাঙা হল বিবেকানন্দের মূর্তি
জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম জগদেশ কুমার টুইটে বৃহস্পতিবারের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি জানিয়েছেন, " স্বামী বিবেকানন্দ যুব সমাজের আইকন। তাঁর মূর্তি ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। এই কাজ কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না।"
Vandalising Swami Vivekananda statue at JNU admin block which is yet to be unveiled is the most despicable act one can commit. Swami Vivekananda is India's youth icon. Disrespecting him in our University by some miscreants is not yet all acceptable.
— Mamidala Jagadesh Kumar (@mamidala90) November 14, 2019
ফের মনীষীর মূর্তি ভাঙার সাক্ষী রইলো দেশ। গতকাল দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙা হয় স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্বামীজির ওই মূর্তিটি উন্মোচনের কথা ছিল। হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে পড়ুয়াদের অন্দোলন চলছে জেএনইউতে। তারই মাঝে এই নক্কারজনক কাজ কে বা কারা করলো সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। মূর্তি ভাঙার পাশাপাশি তার পাদদেশে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় বেশ কিছু মন্তব্য লেখা হয়। পরে তা মুছে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় বাম নেতৃত্বাধীন জেএনইউ চাত্র সংসদকে দায়ী করেছে এবিভিপি। ছাত্র আন্দোলনের দিশা অন্যপথে ননিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা থেকেই এই কাজ বলে দাবি তাদের। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেএনইউ ছাত্র সংসদ। প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, ডানপন্থী সংগঠনগুলি হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলা আন্দোলন থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই এধরণের কাজ করছে। জেএনইউ চাত্র সংসদ এই ঘৃণ্য কাজ সমর্থন করে না বলে দাবি তাদের।
আরও পড়ুন: ফি বৃদ্ধির হার কমাল জেএনইউ কর্তৃপক্ষ
বিশ্ববিদ্য়ালয়ের শিক্ষক সংগঠন জেএনইউটিএ-এর তরফেও বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙার নিন্দা করা হয়। জানানো হয়, 'এই কাজের সঙ্গে জড়িতরা কোনও স্বৈরাচারী প্রশাসনের বিরুদ্ধে যে আন্দোললন তার সমর্থক নয়। যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গর্বের বিষয় তারও পৃষ্ঠপোষক নয়।'
আন্দলনের জেরে উপাচার্যের ঘরের দরজা, রেক্টার ও রেজিস্ট্রারের ঘরে বিভিন্ন কালি দিয়ে স্লোগান লেখে পড়ুয়ারা। উপাচার্যের পদত্যাগ থেকে তাদের নানান দাবি কথা সেখানে ফুটে ওঠে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এই কাজ বে-আইনি বলে জানান রেজিস্ট্রার প্রমোদ কুমার। অপরাধীদের শাস্তি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Read thee full story on English