ফের অশান্ত দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় । সূত্রের খবর রামনবমীর সন্ধ্যায় আমিষ খাবার খেতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এর বিরুদ্ধে। এরপরই বাম ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ABVP ।
এই বিষয়ে একটি টুইটও করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের (JNUSU) সভানেত্রী ঐশী ঘোষ। তিনি তাঁর টুইট বার্তায় লেখেন, রামনবমীর সন্ধ্যায় আমিষ খাবারের ওপর 'নিষেধাজ্ঞা' জারী করে ABVP এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানালে ABVP সমর্থকরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বাম ছাত্র সংগঠনের সমর্থকের ওপরে। মুহুর্তেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এর পাশাপাশি তিনি লেখেন, "ABVP আবারও একই কাজ করেছে। কাবেরী হস্টেলে সবাইকে জোর করে আমিষ খাবার খেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, সাধারণ পড়ুয়ারা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই সংঘী গুন্ডারা হিংসা ছড়াতে শুরু করেছে। একাধিক ছাত্রছাত্রী মারাত্মক জখম হয়েছেন।"
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এই ঘটনায় ৫ থেকে ৬ জন ছাত্র ছাত্রী আহত হয়েছেন। যদিও বাম সংগঠনের দাবি এই সংখ্যা কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন। ABVP দাবি করেছে হামলার ঘটনার জেরে তাদের ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : রামনবমীর মিছিল ঘিরে সংঘর্ষ, পরিস্থিতি সামাল দিতে জারি কারফিউ
এই হামলার বিষয়ে বাম সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, " প্রতি রবিরার হোস্টেলে আমিষ খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে, এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হটাত করেই ABVP আমিষ খাবার খেতে বাঁধা দেয়, তার প্রতিবাদ জানাতে গেলে ABVP সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করে। এই হামলার ঘটনায় আমাদের ৫০ থেকে ৬০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন"।
যদিও "উমেশ আজমীরা এবিভিপির জেএনইউ-এর সেক্রেটারি দাবি করেছেন আমিষ খাবার নিয়ে কোন ঝামেলার সূত্রপাত হয়নি। কাবেরী হোস্টেলে রামনবমীর অনুষ্ঠানে বাঁধা দেয়, বামপন্থী সংগঠন। তার বিরোধীতা করতে গেলে আমাদের ওপর হামলা করা হয়"।
যদিও এই হামলার বিষয়ে ডিন সুধীর প্রতাপ সিং জানান, 'ছাত্রদের মেস কমিটিগুলি ঠিক করে যে কী রান্না করা হবে এবং এতে প্রশাসনের কোনও ভূমিকা নেই'।
Read story in English