মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে এখনই মাথা ঘামাতে রাজি নয় মোদী সরকার। এদিন তাঁর ভাষণে এটাই স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি তাঁর ভাষণে বলেন, কর্মসংস্থান এবং সম্পদের সুষম বন্টনই এখন সরকারের অগ্রাধিকার। অর্থমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতির চাপ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নয় বরং বেশি বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক সমতার লক্ষ্য অর্জনই সরকারের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।
ইউএস-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল আইডিয়াস সামিটে ভাষণ দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে কর্মসংস্থান, সম্পদের সুষম বণ্টন। ভারত যাতে বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যেতে পারে তা নিশ্চিত করা। সীতারামন আরও বলেন, 'এই প্রেক্ষাপটে মুদ্রাস্ফীতি সরকারের অগ্রাধিকার নয়’ । ২০২২ সালের এপ্রিলে মুদ্রাস্ফীতির হার পৌঁছেছিল ৭.৭৯ শতাংশে। যেখানে জুলাইয়ে তা নেমে হয়েছে ৬.৭১ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির পরে আরবিআই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে রেপো রেট ১.৪০ শতাংশ বাড়ায়।
মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে বারে বারে নিশানা করেছে বিরোধী দলগুলি। সংসদের বাদল অধিবেশন চলাকালীন একাধিকবার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সিপিআই(এম)-কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের সাংসদরা। কিন্তু, তা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয় কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: < ভোলবদল! নতুন মোড়কে ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ’, মোদীর হাত ধরে আজই শুরু ‘পথচলা’ >
অর্থমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি দুটি লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগ ও এবং সম্পদের সুষ্ঠ বণ্টন সঙ্গে কর্মসংস্থান । কীভাবে আরও কার্যকর করা যায় তা নিয়ে আরও বেশি পর্যালোচনা করবে সরকার। তিনি বলেন, ভারত প্রতিনিয়ত নতুন বিনিয়োগে শিল্পপতিদের আকর্ষণ করছে। পাশাপাশি তিনি বলেন তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সাফল্য অর্জন করেছি।