প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমজে আকবরের দায়ের করা ফৌজদারি মানহানি মামলায় সোমবার সাংবাদিক প্রিয়া রমানিকে অভিযুক্ত হিসেবে শমন করেছিল দিল্লি আদালত। ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিনিময়ে জামিন পেলেন রমানি। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৮ মার্চ।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে সাংবাদিক প্রয়া রমানি জানিয়েছেন, "আগামী ১০ এপ্রিল আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আবার সাজানো হবে। তখন আমার বলার সময় আসবে। সত্যই আমার শক্তি"।
এম জে আকবরের আইনজীবী জানুয়ারিতে আদালতে জানান, প্রাথমিক ভাবে সাংবাদিক প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আকবরের আইনজীবীর সওয়াল শোনার পর আদালতের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট সমর বিশাল জানিয়ে দেন আগামী ২৯ জানুয়ারি রায় দেওয়া হবে।
গত বছর একটি ম্যাগাজিনে প্রিয়া তাঁর চাকরি জীবনের প্রথমদিককার অভিজ্ঞতা ভাগ করেছিলেন সবার সঙ্গে। নাম না করে তিনি লিখেছিলেন বছর কুড়ি আগে এক প্রভাবশালী সাংবাদিক তাঁকে চাকরির ইন্টার্ভিউ-এর জন্য হোটেলের ঘরে ডেকে একই বিছানায় বসতে বলেছিলেন। চলতি বছরের অক্টোবরে টুইট করে সাংবাদিক প্রিয়া রামানি জানান, সেই ব্যক্তি এম জে আকবর ছাড়া কেউ নন।
আরও পড়ুন, টালিগঞ্জেও #MeToo! পরিচালক পাভেলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ অভিনেত্রীর
প্রিয়া রমানি মুখ খোলার পর প্রায় ১৫ জন মহিলা সাংবাদিক আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক শ্লীলতাহানির অভিযোগ আসতে শুরু করায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে গত বছর, ১৭ অক্টোবর ইস্তফা দেন আকবর।
ঠিক তার পরেই সাংবাদিক প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী তথা সংবাদপত্রের প্রাক্তন সম্পদাক এম.জে. আকবর ফৌজদারি মানহানির মামলা করেন দিল্লির একটি আদালতে। ভারতীয় দন্ডবিধির ৫০০ ধারায় এই মামলাটি গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য, ভারতীয় দন্ডবিধির ৫০০ ধারা অনুযায়ী, অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে দু’বছরের কারাদন্ড অথবা জরিমানা কিংবা পরিস্থিতি বিচার করে দুটি একই সঙ্গে হতে পারত।
প্রসঙ্গত, তাঁর বিরুদ্ধে আসা একের পর এক শ্লীলতা হানির অভিযোগের জেরে এম জে আকবরকে সাসপেন্ড করেছে এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া (ইজিআই)। তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে, একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
Read the full story in English