অধিকারের জন্য আদালতের রায়ই যথেষ্ট নয়, সোচ্চার হওয়াও জরুরি, মত বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের

সম্প্রতি একটি ভারতীয় সংস্থা তার 'কারভা চৌথ' এর ক্ষেত্রে সমকামী দম্পতির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। সেখানে ওই দম্পতিকে 'কারভা চৌথ' পালন করতে দেখা যায়।

সম্প্রতি একটি ভারতীয় সংস্থা তার 'কারভা চৌথ' এর ক্ষেত্রে সমকামী দম্পতির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। সেখানে ওই দম্পতিকে 'কারভা চৌথ' পালন করতে দেখা যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
justice chandrachud

বিচারপতি চন্দ্রচূড়

প্রান্তিক গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষার স্বার্থে মানুষ সরব না-হলে ন্যায়বিচার দ্রুত মূল্যহীন হয়ে যায়। সম্প্রতি সমকামী দম্পতিকে নিয়ে 'কারভা চৌথ'-এর বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে প্রত্যাহার করা হয়েছে ওই বিজ্ঞাপন। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, নভতেজ সিং জোহরের মামলায় সমকামিতা অপরাধ নয়, সেটা ঘোষণা করাই যথেষ্ট নয়। উভকামী, রূপান্তরকামী প্রত্যেককেই তাঁদের অধিকার আদায় করতে হবে।

Advertisment

উত্তর ভারতীয়দের মধ্যে প্রচলিত হিন্দু উৎসব 'কারভা চৌথ'। এই প্রথায় স্বামীদের জন্য স্ত্রীরা দিনভর উপোস করেন। তারপর স্বামীদের 'পূজা' করেন। সম্প্রতি ভারতীয় সংস্থা ডাবর তার 'কারভা চৌথ' এর ক্ষেত্রে সমকামী দম্পতির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। সেখানে ওই দম্পতিকে 'কারভা চৌথ' পালন করতে দেখা যায়। এরপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। মধ্যপ্রদেশের এক রাজনীতিবিদও এই বিজ্ঞাপনের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তার পরই বিজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন- মদ কেলেঙ্কারির আসল পান্ডা কেজরিই, কড়া নিশানা বিজেপির

পুনের আইএলএস আইন কলেজে 'ভারতে মধ্যস্থতার ভবিষ্যৎ' বিষয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। ডাবরের বিজ্ঞাপনটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আদালত প্রান্তিক গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার জন্য সাংবিধানিক অধিকারের দিগন্তকে প্রসারিত করছে। কিন্তু, মানুষ যদি সেই অধিকার নিয়ে সরব না-হয়। তবে, ন্যায়বিচারও দ্রুত বাতিল হয়ে যেতে পারে। নভতেজ সিং জোহরের সমকামিতা অপরাধ নয়, এই বিষয়টি রূপান্তকামী সম্প্রদায়ের সদস্যদের অধিকার আদায়ের জন্য যথেষ্ট নয়। নভতেজের রায়ের চার বছর পর, একটি ফেয়ারনেস ক্রিমের একটি বিজ্ঞাপন, যেখানে এক সমকামী দম্পতির করভা চৌথ উদযাপনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল, তীব্র প্রতিবাদের পরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

Advertisment

বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, 'আদালত হল অর্থপূর্ণ অধিকার দাবি করার একমাত্র পথ। বিরোধ নিষ্পত্তির পদ্ধতি। যেটা নানা কারণে মানুষ বেছে নেয়। আদায় করা এই সব অধিকার বাস্তবে পালন করা জরুরি। তার প্রয়োগ করা দরকার। যাতে সেটা সামাজিক নিয়মের অংশ হতে পারে।'

Read full story in English

LGBT Supreme Court of India Justice Chandrachur