Advertisment

খ্রিস্টানদের মামলা নিয়ে গড়মসির অভিযোগ, ক্ষুব্ধ বিচারপতি চন্দ্রচূড় বললেন 'সীমা থাকা দরকার'

অসন্তোষ প্রকাশের পর মামলাটি নতুন করে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তাঁর খেদোক্তি, 'না-হলে আবার নতুন কোনও খবরের উপাদান তৈরি হয়ে যাবে।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
dy chandrachud

খ্রিস্টানদের ওপর হামলার আবেদন শুনতে দেরি করছে সুপ্রিম কোর্ট। এই অভিযোগ শুনে এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, 'সবকিছুর একটা সীমা থাকা দরকার।' যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেজন্যই মামলাটি শুনতে দেরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, 'সম্প্রতি আমি একটি সংবাদ পড়েছি যে সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি শোনার বিষয়ে বিলম্ব ঘটাচ্ছে। আমাদেরও একটু সময় দিন। একজন বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই কারণে মামলাটি শুনতে পারেননি। আপনারা বিচারপতিদের বিরুদ্ধে কতটা বলতে পারেন, তার একটা সীমা থাকা দরকার। কে এইসব খবর ছাপাচ্ছে!' এভাবে অসন্তোষ প্রকাশের পর মামলাটি নতুন করে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তাঁর খেদোক্তি, 'না-হলে আবার নতুন কোনও খবরের উপাদান তৈরি হয়ে যাবে।'

Advertisment

আরও পড়ুন- বয়স ১৮ হওয়ার আগেই ভোটার তালিকায় আগাম নথিভুক্তি, নতুন ব্যবস্থা কমিশনের

বেঙ্গালুরুর আর্চবিশপ পিটার মাচাডো এবং কিছু খ্রিস্টান সংগঠন এপ্রিলে আবেদনটি দাখিল করেছিল। সেই আবেদনে দাবি করা হয়েছে, গোটা দেশে খ্রিস্টানদের ওপর হামলা ক্রমশ বাড়ছে। জুনের শেষ সপ্তাহে আদালতে যখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছিল, সেই সময় বেঞ্চের সামনে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল। আদালত পুনরায় খোলার পরে বিচারপতি সূর্যকান্তকে নিয়ে গঠিত বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে ১১ জুলাই শুনানির জন্য ফের এটি তোলা হয়, কিন্তু মামলাটি ১৫ জুলাই পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়। কেন মামলাটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার কারণ হিসেবে বিচারপতি জানিয়েছেন যে তাঁর করোনা হয়েছিল। সেই কারণেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এই মামলা।

এর আগে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা জানিয়েছিলেন, ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় সকলকেই সমান চোখে দেখা হয়। কোনও পার্থক্য করা হয় না। এটাই এদেশের বিচার ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য। আর, সেই জন্যই দেশের বিচার ব্যবস্থা নিজেকে সম্মানের জায়গায় ধরে রাখতে পেরেছে। তাঁর এই মন্তব্যে সায় দিয়েছিলেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। সেই সমান দৃষ্টিকোণের কথাই বিচারপতি চন্দ্রচূড়ও বৃহস্পতিবার ফের বুঝিয়ে দিলেন। এমনটাই মনে করছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহলের একাংশ।

Read full story in English

supreme court Justice Justice Chandrachur
Advertisment