নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এক মাস ধরে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (এএমইউ) পড়ুয়াদের উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে বুধবার গভীর রাতে বহিষ্কৃত অধ্যাপক কাফিল খানকে গ্রেফতার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। বুধবার ড: খান নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধকের (এনপিআর) এর বিরুদ্ধে বিহারে একটি প্রতিবাদের মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন। পূর্বনির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মুম্বাই সেন্ট্রালে মহিলাদের একটি অবস্থান বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করতে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বিমানবন্দরে নামামাত্রই তাঁকে গ্রেফতার করে সাহার থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: আইন নেই, কুণালের উড়ান নিষেধাজ্ঞা ছয় থেকে কমে এক মাস হল
মুম্বাই পুলিশের বর্ষীয়াণ অফিসার বলেন বৃহস্পতিবার ড: খানকে উত্তরপ্রদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সাহার থানার পুলিশ। ড: কাফিল খান আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার একদিন পর, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ আলিগড় সিভিল লাইন থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এফআইআর-এ বলা হয়েছে ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাব-এ-সৈয়দ গেটে প্রায় ৬০০ জন মুসলিম ছাত্রকে সম্বোধন করে মুসলিম শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি বিভেদ এবং অশ্রদ্ধার বীজ বপন করেছেন কাফিল খান।
আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানকে ধূলিসাৎ করতে ভারতের ১০ দিনও লাগবে না’, হুঙ্কার মোদীর
কাফিল খানের গোটা বক্তৃতাটি রেকর্ড করে পুলিশ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রতি বিতর্কিত মন্তব্য করা, ছাত্রদের কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে লড়াই, এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চালানোর চেষ্টা করারও আহ্বান জানিয়েছিল, এমনটাই অভিযোগ পুলিশের। বকেয়া টাকা না দেওয়ায় হাসপাতালের অক্সিজেন সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে ইনসেফালাইটিসে আক্রান্ত বেশ কয়েকটি শিশু মারা যাওয়ার পর কাফিল খানকে ২০১৩ সালে গোরক্ষপুরের বাবা রাঘব দাস মেডিকেল কলেজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। যদিও গত বছর আদালত তাঁকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়।
Read the full story in English