রাজ্যে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। রাজধানী বেঙ্গালুরুর সংক্রমণ পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।করোনার তৃতীয় ধাক্কায় রাজ্যে-রাজ্যে মাত্রাছাড়া সংক্রমণ। বর্তমানে যে ৬টি রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক, তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটক। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, একদিনে নতুন করে রাজ্যে ৪৮ হাজার ৪৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। শুধু রাজধানী বেঙ্গালুরুতেই একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৬৮ জন, মৃত্যু ৬ জনের।
একদিনে কর্নাটকে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ১১৫ জন। এই মুহূর্তে কর্নাটকে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ২৩ হাজার ১৪৩। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। এদিকে, জনজীবন স্বাভাবিক করতে কর্নাটক সরকার সাপ্তাহিক ছুটির কারফিউ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ চলবে।
আরও পড়ুন- ইন্ডিয়া গেটে বসবে নেতাজির পূর্ণাবয়ব গ্রানাইট মূর্তি, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে-রাজ্যে জারি একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ। তবে সম্প্রতি রাজধানী দিল্লিতে কিছু বিধি-নিষেধ শিথিল করার পরিকল্পনা করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। দিল্লিতে সপ্তাহান্তে কারফিউ এবং বিধি-নিষেধ শিথিল করার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা পাকা করে সেই প্রস্তাব লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়।
কেজরিওয়াল সরকারের প্রস্তাব ফিরিয়েছেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। বিধি-নিষেধ শিথিল করতে হলে রাজধানীর করোনা পরিস্থিতির আরও উন্নতি প্রয়োজন বলেই মনে করেন বৈজল। এখনই করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ শিথিল করা হলে ফল উল্টো হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাঁর।
Read full story in English