সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে ফের হিংসা। এবার বিজেপি শাসিত কর্ণাটকের হুব্বালি এলাকায় শনিবার ব্যাপক অশান্তি। একটি হোয়াটসঅ্যাপ পোস্টকে ঘিরে শনিবার পাথরবৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে শনিবার। বেশ কয়েকজন হিংসায় আহত হয়েছেন। চারজন পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত ৪০ জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, একটি বিকৃত ছবিকে ঘিরে যত গন্ডগোল। তার থেকেই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। হুব্বালি-ধারওয়াড় সিটি পুলিশের কমিশনার লাভু রাম বলেছেন, এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আগামী ২০ এপ্রিল ভোর ছটা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পুরনো হুব্বালি থানার সামনে বেশ কয়েকজন জমায়েত অভিষেক হীরেমঠ নামে যুবকের গ্রেফতারির দাবি জানান। সে-ই ওই বিকৃত ছবি হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করেন। অভিযোগের পর পুলিশ অভিযুক্তকে আনন্দ নগরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর তাঁকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা ঘিরে ধুন্ধুমার, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম ৬ পুলিশকর্মী
জানা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা থানা ঘেরাও করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং পুলিশকে মারধর করে। এক অফিসার-সহ পাঁচ পুলিশকর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। এরপর উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং হাওয়ায় গুলি মারে।
মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেছেন, "পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে অশান্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছে। পুরনো হুব্বালিতে অশান্তি হয়েছে। কেউ যদি আইন নিজের হাতে নিয়ে নেয়, তাহলে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে। এটা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। বরং আইনশৃঙ্খলার দিক থেকে দেখতে হবে।"
আরও পড়ুন ভিন ধর্মে প্রেম, প্রেমিকের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় আগ্রা
এদিকে, এই ঘটনায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দলের নেতা কুমারাস্বামী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, "এখন সোশ্যাল মিডিয়া হিংসা-দ্বেষ ছড়ানোর আখড়া হয়ে গেছে। পুলিশের উচিত ব্যবস্থা নেওয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার যোদ্ধারা বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রস্ফীতি নিয়ে নীরব কিন্তু হিংসা ছড়াতে ওস্তাদ।"