ভূস্বর্গে আবারও সন্ত্রাস দমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে এনকাউন্টারে নিকেশ দুই জঙ্গি। নিহত দুই সন্ত্রাসবাদী পাক মদতপুষ্ট লস্কর-এ-তইবা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক জঙ্গি পাকিস্তানের বাসিন্দা বলেও পুলিশ জানিয়েছে। নিহত এক জঙ্গি কুলগামের বাসিন্দা শাহবাজ শাহ এবং অন্যজন পাকিস্তানের নাগরিক হায়দার।
কাশ্মীরের ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (আইজিপি) বিজয় কুমারকে উদ্ধৃত করে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, পাক জঙ্গি হায়দার দক্ষিণ কাশ্মীরে ঘাঁটি গেঁড়েছিল। তবে তার আগে সে দু'বছর ধরে উত্তর কাশ্মীরেও সক্রিয় ছিল। কুলগামের কাকরান গ্রামে সতীশ কুমার সিং খুনে জড়িত ছিল নিহত অপর লস্কর জঙ্গি শাহবাজ শাহ।
অন্যদিকে, উপত্যকার দুই পুলিশকর্মী মোহম্মদ সুলান ও ফায়াজ আহমেদকে খুনের পিছনে পাক জঙ্গি হায়দারের হাত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হায়দার বান্দিপুরে স্পেশাল পুলিশ অফিসার জুবের আহমেদকে খুনেও জড়িত ছিল। একইসঙ্গে ওই হামলায় দুই পুলিশকর্মী এবং একজন বিএসএফ অফিসারও আহত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’, টানা ৩ দিন ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা একাধিক জেলায়
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে গোপন সূত্রে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামের দেবসার এলাকার চেয়ান গ্রামে জঙ্গি গতিবিধির খবর মেলে। সেই খবর পেয়েই ওই এলাকায় পুলিশ-সেনার যৌথ বাহিনী যায়। গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। এলাকায় যৌথবাহিনীর সদস্যরা পৌঁছে গিয়েছে টের পেয়েই পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। নিরাপত্তাবাহিনীর ঘেরাটোপ ভেঙে পালানোর চেষ্টা করে জঙ্গিরা।
পাল্টা জবাব দেয় সেনা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে সেনা-জঙ্গিদের গুলির লড়াই। শেষমেশ নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের গুলিতে নিকেশ দুই জঙ্গি। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ টুইটে জানিয়েছে, ''দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে।'' গত তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণ কাশ্মীরে এটিই দ্বিতীয় বড় এনকাউন্টার। শুক্রবার, অমরনাথ যাত্রা রুটে পহেলগামের জঙ্গলেও জঙ্গি-সেনার গুলির লড়াই চলে। এনকাউন্টারে হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি কমান্ডার মোহাম্মদ আশরাফ খান ওরফে আশরাফ মোলভি সহ তিন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
Read story in English