কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন বিগ বি। বৃহস্পতিবার কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনা ‘জঘন্যতম’ বলে মন্তব্য করলেন অমিতাভ বচ্চন। সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে এদিন বলিউড শাহেনশাহ বলেন যে, এ ব্যাপারে কথা বলতে তাঁর ঘৃণা বোধ হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর আরও বলেন যে, এ ঘটনা নিয়ে কথা বলাও ভয়ঙ্কর। বৃহস্পতিবার ‘১০২ নট আউট’ ছবির একটি গানের মুক্তি উপলক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দেন বিগ বি। দেশের দুই মেয়ের সঙ্গে ঘটা এই অপরাধ নিয়ে তখনই তাঁকে সাংবাদিকদের তরফে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয়।
তবে শুধু অমিতাভ বচ্চনই নন, বলিউডের আরও অনেক তারকা ইতিমধ্যেই কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। এ ধরনের ঘটনাকে লজ্জাজনক, ভয়ঙ্কর বলে বর্ণনা করেছেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। এ ব্যাপারে মহেশ ভাট কন্যা বলেন, ‘‘একজন মেয়ে হিসেবে, একজন নারী হিসেবে, একজন মানুষ হিসেবে, একজন নাগরিক হিসেবে, দেশের একজন হয়ে, এধরনের ঘটনায় খুবই মর্মাহত।’’
কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। সোনম কাপুর, করিনা কাপুররাও সোশ্যাল সাইটে এ নিয়ে সরব হয়েছেন। #JusticeForOurChild, একথা লিখেই প্রতিবাদ চলছে সোশ্যাল দুনিয়ায়। নিজেদের ছবির সঙ্গে একটি পোস্টার রেখে সোশ্যাল সাইটে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন অনেকেই। ‘‘আমি হিন্দুস্তান, আমি লজ্জিত। ৮ বছর বয়স। গণধর্ষণ। খুন। ‘দেবী’-স্থান মন্দিরে। #Kathua’’, এ বার্তা নিয়েই দেশের মেয়েরা আদৌ কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন এঁরা।
আরও পড়ুন, কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনায় সরব নেটিজেনরা
দেশের মেয়েদের সঙ্গে এমন অপরাধ নিয়ে বহু প্রতীক্ষার পর মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের মেয়েরা যে বিচার পাবে সে ব্যাপারে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও সাফ জানিয়েছেন মোদি। কাঠুয়ার ঘটনায় সরব হয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেন, ‘‘স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ঘটনা ঘটছে, যা লজ্জাজনক।’’ সমাজ যে পথে চলছে, তা সকলের ভাবা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন রামনাথ কোবিন্দ। দেশের শিশু ও নারীদের সঙ্গে যাতে আগামী দিনে এধরনের ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করা যে সকল দেশবাসীর দায়িত্ব, তাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
সংবাদমাধ্যমে কাঠুয়ার ঘটনা জেনে সরব হয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। কাঠুয়ার ৮ বছরের শিশুকন্যাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে বর্ণনা করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতারেজ। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ।