গোটা দেশে ফের একবার বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে করোনা। দৈনিক সংক্রমণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ২৭ হাজারের গণ্ডি। দেশের অন্য রাজ্যগুলির পাশাপাশি রাজধানী দিল্লিতেও বাড়ছে সংক্রমণ। তবে করোনা নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনও কারণ নেই বলেই মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর কথায়, ''হাসপাতালে রোগী ভর্তির প্রবণতা এখনও খুবই কম। অযথা আতঙ্কিত হবেন না।'' তবে করোনা এড়াতে প্রত্যেককে মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে আবেদন জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
Advertisment
দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এরই পাশাপাশি বাড়ছে সাধারণ করোনা রোগীর সংখ্যাও। তবে পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে বলে মনে করেন না মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার দিল্লির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেন, ''বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা খুব কম। আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।''
করোনা নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ না থাকলেও প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর। কেজরিওয়াল এদিন বলেন, ''মাস্ক পরুন। সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে চলুন। সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে। সরকার আপনার পাশে আছে।''
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব "খুবই মৃদু" বলে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এদিন আরও বলেন, "আমার কাছে তথ্য আছে। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। ২৯ ডিসেম্বর ৯৩২টি করোনা কেস ছিল। ৩০ ডিসেম্বর তা বেড়ে হয়েছে ১৩১৩। ৩১ ডিসেম্বর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭৯৬। তারপরের একদিনে ২৭৯৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আজ আরও প্রায় ৩১০০ টি কেস যোগ হয়েছে। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।'' দৈনিক সংক্রমণ নিয়ে গত কয়েকদিনের তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যারও একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
কেজরিওয়াল এদিন বলেন, ''এই মুহূর্তে দিল্লিতে ৬৩৬০ জন করোনা সক্রিয় রোগী রয়েছেন। এই সংখ্যা তিন দিন আগে ২১৯১ ছিল। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ২৬২ জন রোগী। ১ জানুয়ারি এই সংখ্যাটি ২৪৭-এ নেমে এসেছে। এর মানে হল নতুন করে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের উপসর্গ খুবই হালকা বা তাঁদের অনেকেই উপসর্গহীন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। বর্তমানে, দিল্লিতে মাত্র ৮২টি অক্সিজেন বেডে রোগী ভর্তি রয়েছেন। অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে এমন রোগী খুব কমই আসছেন। আমাদের এই ধরনের ৩৭ হাজার বেড রয়েছে। যে কোনও সময় তা আরও বাড়ানো যেতে পারে।''