Advertisment

হরিয়ানার বাঁধ থেকে ছাড়া জলে প্লাবিত দিল্লির যমুনাতীর, শাহর দ্বারস্থ কেজরিওয়াল

রাজধানীতে স্কুল বন্ধ করে সেখানে অস্থায়ী ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
YAMUNA WATER

জলস্ফীতিতে ভাসছে উত্তর ভারত। যমুনা নদীর জলস্তর সর্বকালের সর্বোচ্চ ২০৭.৭১ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বুধবার কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। কারণ, ইতিমধ্যেই যমুনার জলস্ফীতিতে নীচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। রাজনৈতিক বিরোধিতা যতই থাকুক এই আপদকালীন বা জরুরি পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে পাশে চাইছেন দিল্লির আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিতে কেজরিওয়াল লিখেছেন, 'গত তিন দিন দিল্লিতে বৃষ্টি হয়নি। যমুনার জলস্তর বৃষ্টির কারণে নয়, হরিয়ানা সরকারের হস্তনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে বেশি পরিমাণে জল ছাড়ার কারণে বাড়ছে।'

Advertisment
publive-image
যমুনা তীরের নীচু অঞ্চলের বাসিন্দারা তাঁদের জিনিসপত্র, গবাদি পশু এবং পোষা প্রাণী নিয়ে বন্যার জলের মধ্যে দিয়েই নতুন দিল্লির ময়ূর বিহারের কাছে রাস্তার পাশে আশ্রয়ের সন্ধানে যাত্রা করেছেন।

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে রাজধানীতে বন্যার খবর ভাল বার্তা পাঠাবে না, তা উল্লেখ করে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল অনুরোধ করেছেন বিষয়টিতে যাতে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করে। হরিয়ানার হথনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে যাতে হরিয়ানা সরকার নিয়ন্ত্রিত গতিতে জল ছাড়ে। আর, হরিয়ানা সরকারকে সেটা করানোর জন্য যাতে অমিত শাহ হস্তক্ষেপ করেন। দিল্লির পরিস্থিতি কথা চিঠিতে বিস্তারিত উল্লেখ করে কেজরিওয়াল বলেছেন, দেশের রাজধানীতে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, যমুনার জলস্তর ২০৭.৫৫ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। যা 'বিপদসীমার' অনেক ওপরে।

publive-image
প্লাবিত অঞ্চলের বাসিন্দারা

পরে দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে কেজরিওয়াল বলেন যে তিনি জেলাশাসকদের (ডিএম) সঙ্গে ত্রাণের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এই প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, 'সরকার ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে। আমি এইমাত্র সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করলাম। তাঁদের নির্দেশ দিয়েছি যাতে স্কুলগুলোকে ত্রাণশিবির করা হয়। আর, সেখানকার টয়লেট এবং অন্যান্য সুবিধা যাতে ত্রাণশিবিরে আশ্রিতরা ব্যবহার করতে পারেন।'

আরও পড়ুন- দেশের একাংশ বৃষ্টিতে নাজেহাল, অথচ অন্যত্র ডাল চাষের জলই মিলছে না!

কেজরিওয়াল বলেন, 'আমরা আধিকারিকদের মাধ্যমে কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করছি। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখার পর, জলশক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত ফোনে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। ডিএম-কে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় স্কুলগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। আমি যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অবস্থান করছেন, তাঁদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে তাঁদের বাড়ি খালি করার জন্য অনুরোধ করছি। আমরা ক্যাম্পে খাবার এবং টয়লেট-সহ সবকিছুর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করেছি।'

amit shah Kejriwal River
Advertisment