কেরালায় সোনা পাচারকাণ্ডের তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য় উঠে এল। সোনা পাচারের ঘটনার সঙ্গে মোস্ট ওয়ান্টেড ডন দাউদ ইব্রাহিমের হাত রয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দাবি করল এনআইএ। কোচিতে এদিন বিশেষ আদালতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে দাউঢের ডি-কোম্পানির যোগসাজশ থাকতে পারে।
সোনা পাচারের ঘটনায় ৭ অভিযুক্তের জামিনের মামলায় পিটিশন ফাইল করেছে তদন্তকারী সংস্থা। গোয়েন্দা তথ্য়কে উদ্ধৃত করে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে যে, সোনা পাচারের ঘটনার সঙ্গে দেশ বিরোধী ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের যোগসূত্র রয়েছে। তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য় সমস্ত অভিযুক্তদের ১৮০ দিনের হেফাজতে নেওয়া অত্য়ন্ত জরুরি বলে জানানো হয় আদালতে।
এনআইএ সূত্রে খবর, জেরায় এ মামলায় পঞ্চম অভিযুক্ত রামিজ জানিয়েছে, তানজানিয়ায় সে হিরের ব্য়বসা শুরু করতে চেয়েছিল। সেইসঙ্গে সে দেশে সোনার খনির লাইসেন্স পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তানজানিয়া থেকে সোনা কিনে তা সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে বিক্রি করত রামিজ।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে ১৫৭ কোটি পিএম কেয়ারে! ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য
এনআইএ এদিন জানিয়েছে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে সংস্থার ডিজিকে রিপোর্ট পাঠিয়ে সেন্ট্রাল ইকোনমিক ইন্টিলেজেন্স ব্য়ুরো জানিয়েছিল যে, কেরালায় সোনা পাচারের মাধ্য়মে সন্ত্রাসবাদ ও দেশবিরোধী কার্যকলাপ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য়, গত জুলাই মাসে কেরালায় তিরুবনন্তপুরমে এক কূটনৈতিক কার্গো বিমান থেকে ৩০ কিলোগ্রাম সোনা আটক করে শুল্ক দফতর। যা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় দেশে। কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্য়মে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে সোনা পাচার করা হয়েছিল কেরালায়, এমনটাই অভিযোগ ওঠে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন