Niti Ayog: স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সূচকে নীতি আয়োগের ফার্স্টবয় কেরল। ব্যাকবেঞ্চার উত্তর প্রদেশ। কেন্দ্রীয় এই সংস্থা প্রকাশিত সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য সূচকে এই রিপোর্ট কার্ড সামনে এসেছে। ২০১৯-২০ বর্ষের নিরিখে এই স্বাস্থ্য সূচক রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হয়েছে। একইভাবে এই সূচকে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানা। তালিকার একদম নীচে থাকা উত্তর প্রদেশের আগে বিহার এবং মধ্য প্রদেশ। ঘটনাচক্রে এই তিন রাজ্যে শাসন ক্ষমতায় এককভাবে বিজেপি কিংবা জোট শরিক গেরুয়া শিবির।
নীতি আয়োগ প্রকাশিত রিপোর্টে উল্লেখ, স্বাস্থ্য সূচকে উত্তর প্রদেশে লাস্ট বয় হলেও, ক্রমেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বদল ঘটছে যোগীর রাজ্যে। ২০১৮-১৯-র তুলনায় ২০১৯-২০-তে সেই বদল লক্ষণীয়। ছোট রাজ্য হিসেবে মিজোরাম সব সূচকেই তালিকার প্রথম দিকে। পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে খারাপ পারফরম্যান্স দিল্লি এবং কাশ্মীরের। তবে পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নতির ঘটছে এই দুই রাজ্যে।
জানা গিয়েছে, বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য এবং পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য যাচাই করে এই রিপোর্ট কার্ড তৈরি করে নীতি আয়োগ। এদিকে, নীতি আয়োগের এই রিপোর্ট কার্ড প্রকাশের মাঝেই বুস্টার ডোজ নিয়ে বড়সড় ঘোষণা। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু করোনার বুস্টার ডোজের প্রয়োগ। স্বাস্থ্যকর্মী ও একেবারে সামনের সারির কোভিড যোদ্ধারা পাবেন এই ডোজ। এছাড়াও ষাটোর্ধ্ব কোমর্বিডিটি থাকা ব্যক্তিদের দেওয়া হবে করোনার ‘সতর্কতামূলক’ ডোজ। ৯ মাস আগে যাঁরা করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজটি পেয়েছেন তাঁদেরই আগে এই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। ICMR এবং ফরিদাবাদের ট্রান্সলেশনাল হেলথ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট-এর উদ্যোগে পরিচালিত পাঁচটি বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ডোজগুলির মধ্যে ব্যবধান ৯ মাসের রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৯ মাসের মাথায় এই বুস্টার ডোজের মানে হল এই, যে চলতি বছরের ১০ এপ্রিলের মধ্যে যাঁরা প্রাথমিক টিকাদানের সময়সূচীতে দ্বিতীয় ডোজটি পেয়েছিলেন তাঁরাই সতর্কতামূলক ভ্যাকসিনের প্রাথমিক ডোজগুলি গ্রহণ করবেন। অর্থাৎ, প্রধানত স্বাস্থ্যসেবা এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীরাই প্রথম এই বুস্টার ডোজ পাবেন।
সর্বপ্রথমে এঁদেরই টিকা দেওয়া শুরু হয়ছিল গত ১৬ জানুয়ারি থেকে। ১ মার্চ থেকে দেশের ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং ৪৫-এর বেশি বয়সী যাঁদের কোমর্বিডিটি ছিল তাঁদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ১ মে পর্যন্ত দেশের ১.১১ কোটি জনগণ টিকার দুটি ডোজ গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন- করোনার বুস্টার ডোজ প্রয়োগ নিয়ে আমার পরামর্শ মানল কেন্দ্র: রাহুল গান্ধী
“কো-উইন প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে কারা সতর্কতামূলক ডোজের জন্য যোগ্য হবেন। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে কতজন যোগ্য হবেন সেই সংখ্যা আমাদের কাছে তৈরি রয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে।” এমনই বলেছেন প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আমেরিকা ও ব্রিটেন-সহ বিশ্বের বাকি দেশগুলিতে যে পদ্ধতি মেনে বুস্টার ডোজের প্রয়োগ চলছে তার থেকে ভারতের পদ্ধতি ভিন্ন হতে চলেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন