ঈশ্বরের আপন দেশ কেরলে অতিবৃষ্টি, ধসের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, এনডিআরএফ, সেনা একাধিক জেলায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। দক্ষিণের এই রাজ্যে ঘরছাড়া বহু মানুষ। দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, বুধবার থেকে আরও বাড়বে বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে ইদুক্কি ড্যাম-সহ রাজ্যের দুটি বড় নদীবাঁধের লকগেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সরকার। ফলে বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ইদুক্কি ড্যাম হল রাজ্যের সবচেয়ে বড় জলাধার। প্রায় ৯৩ শতাংশের জল ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এই জলাধারের। কিন্তু ১২ অক্টোবর থেকে প্রবল বৃষ্টির জেরে জলাধার প্রায় টইটম্বুর। এই অবস্থায় বাঁধের লকগেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাঁধ সংলগ্ন নিচু এলাকায় ইতিমধ্যে সতর্কবার্তা জারি করেছে প্রশাসন। বিশেষ করে কোচির শহরতলিতে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। এই বাঁধের লকগেট খুলে দিলে রাজ্যে ব্যাপক বন্যার আশঙ্কা।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আরও একটি কারণ হল মৌসম ভবনের পূর্বাভাস। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামিকাল, ২০ অক্টোবর থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কেরলজুড়ে। ২০১৮ সালের বন্যা বিপর্যয়ের মতো পরিস্থিতি এড়াতে সরকার বাঁধগুলির লকগেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইদুক্কি জলাধার। ইতিমধ্যে ভোর ছটা নাগাদ ইদামালায়ার ড্যাম খুলে দিয়েছে প্রশাসন। সকাল ১১টা নাগাদ খোলা হবে ইদুক্কি ড্যাম।
আরও পড়ুন প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভগবানের আপন দেশ! কেরলে মৃত বেড়ে ২৭, নিখোঁজ বহু
এদিকে, নৌসেনা এবং এনডিআরএফ সোমবার ইদুক্কি জেলায় ভূমিধসের মধ্যে থেকে আরও দুটি দেহ উদ্ধার করেছে। কুট্টানাড অঞ্চলে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ব্যাকওয়াটার পর্যটনের জন্য বিখ্যাত এই এলাকা নিচু হওয়ার দরুন বানভাসি হওয়ার সমুহ সম্ভাবনা। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। আশ্রয় শিবিরের সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৪০টি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন