সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসাবে দেশের ৯ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২০০০ টাকা করে ১৮ হাজার কোটি টাকা ট্রান্সফার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার অধীনে সেই টাকাকে বিরাট কিছু ভাবতে রাজি নন কৃষকরা। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য না পাওয়ায় গত কয়েক বছরে দেশের বহু কৃষকের যে কয়েক শো কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে তার কাছে এই ২০০০ টাকা কিছুই নয়। বরং কৃষকদের দাবি, তাঁদের ভিখারির মতো না ভেবে সরকার তাঁদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করুক।
প্রসঙ্গত, বিহারের মাধেপুরার এক কৃষক পরকাশ বিহারী বলছেন, "আমাদের গ্রামে ছোট-মাঝারি কৃষকরা রয়েছে। তাঁদের হাতে রয়েছে খুব বেশি ৫ একর জমি। আমারও অর্ধেক একর জমি রয়েছে। সেই জমিতে সাকুল্যে ১০ কুইন্টাল ধান উৎপাদন হয়। এক একরে কমবেশি ২০ কুইন্টাল হয়। কিন্তু গুলাব বাঘ মাণ্ডিতে কুইন্টাল প্রতি আমরা ৯০০ থেকে হাজার টাকা পাই। এবার পাঞ্জাব থেকে ব্যবসায়ীরা এসে সেই ধান কুইন্টাল প্রতি ১২০০-১৩০০ টাকায় কিনে ট্রাকে-ট্রেনে পাঞ্জাবে নিয়ে গিয়ে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য মানে ১৮৮০ টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে বিক্রি করে।" তাই গম-ধান ফলনের মরশুমে পাঞ্জাবে এসে খেতে কাজ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আরও অনেক কৃষক পাঞ্জাবে এসে কাজ করেন।
আরও পড়ুন মোদীকে বয়কট, ‘মন কি বাত’ চলাকালীন থালা বাজিয়ে প্রতিবাদ কৃষকদের
তাঁর প্রশ্ন, "সরকার এবার আমাদের বলুক, বছরে ৬ হাজার টাকা পেয়ে আমি কীভাবে খুশি থাকব যেখানে প্রতি বছর আমার নিজের খেতের ফসল বিক্রি করে ৫-৬ হাজার টাকা লোকসান হয়?"। পাঞ্জাব মাণ্ডি বোর্ডের এক শীর্ষ আধাকারিক জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারেরও বিহার-উত্তরপ্রদেশের ধান পাঞ্জাবের মাণ্ডিতে এমএসপিতে বিক্রি করে ৫০ লক্ষ টাকা লোকসান হয়। কৃষকরা কিছুটা এমএসপির ভাগ পেলেও লাভবান বেশি হয় ব্যবসায়ীরা। এর একটাই কারণে ফি বছর এমএসপি থেকে বঞ্চিত হন কৃষকরা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন