অনশনের ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। ছাত্রদের শারীরিক পরিস্থিতির অবশ্যম্ভাবী অবনতি হয়েছে ইতিমধ্যেই। যে সহপাঠীরা আন্দোলনে বাদ গিয়েছিলেন তাঁরাও যোগ দিচ্ছেন একে একে। চত্ত্বরে দু-বেলা মেডিকেল বোর্ড এসে দেখে যাচ্ছে অনশনরত পড়ুয়াদের। তবু হস্টেলের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা। এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলাননি এখনও, বরং অনশন তুলে নিতে বলা হয়েছে ছাত্রদের। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শুক্রবার কলেজ কাউন্সিলের মিটিং-এ তাঁদের কোনও দাবিই মানেননি কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, ছাত্ররা জানালেন, এদিন রাতে জনা ষাটেক পুলিশকর্মী আসেন ক্যাম্পাস চত্ত্বরে। ছাত্রদের অভিযোগ, এই আন্দোলনকে দমাতেই পুলিশ আনা হয়েছিল কর্তৃপক্ষের তরফে। তবে পড়ুয়াদের সাফ কথা, দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশন চলবে।
আরও পড়ুন: Kolkata Medical College: ছড়াচ্ছে অশান্তির আগুন, হস্টেলের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা
আন্দোলনকারীদের প্রধান অভিযোগ, ইডেন বিল্ডিংয়ে হস্টেলের অবস্থাও খুবই শোচনীয়, ইতিমধ্যেই দুবার ছাদ ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় এক দিনের নোটিসে জোর করে প্রথম বর্ষের ছাত্রদের ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে নতুন বিল্ডিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া বা এমসিআইয়ের নিয়মের যে দোহাই দেওয়া হচ্ছে অধ্যক্ষের তরফে, সেই এমসিআইয়ের বাকি নিয়ম মানা হচ্ছে না।
আপাতত মনে হচ্ছে পাল্লা ভারি আন্দোলনকারীদেরই। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসক সংগঠন। শুক্রবার চিকিৎসক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের তরফে বর্তমান আন্দোলনকে সমর্থন জানানো হয়। যোগ দেবেন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরাও। সম্ভবত ২৪ ঘণ্টার অনশনে বসতে পারেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ছাত্রদের হস্টেলের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে ১২ ঘণ্টার অনশনে বসবেন তাঁদের অভিভাবকরাও। একটি ডেপুটেশনও জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এতেও কর্তৃপক্ষের সাড়া না মিললে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাববেন আন্দোলনকারীরা।