Advertisment

Dengue Season: বর্ষায় প্রাদুর্ভাব এড়াতে সারাবছরই তৎপর, দাবি পুরসভার

গত মরসুমে বিভিন্ন কারণে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পুরসভা এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে। ডেঙ্গির প্রকোপের প্রকৃত চিত্র গোপন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে মিডিয়া এবং বিরোধী দলগুলি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kmc

টাউন হলের বুকিং নিয়ে নোটিস পেল কলকাতা পুরসভা

গতবছর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে

Advertisment

রাজ্যে বর্ষা প্রায় এসেই গিয়েছে। এবং বর্ষা মানেই ডেঙ্গির প্রকোপ। গত বছর কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলী, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম থেকে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি সহ গোটা রাজ্যে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল অস্বাভাবিকভাবে। যদিও সরকারি তরফে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের বা মৃতের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। সরকারের হিসেব অনুযায়ী, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যের চিত্রটা একেবারেই আলাদা।

যেমন, গত মরসুমে গুজরাটে ডেঙ্গি, অজানা জ্বর, সোয়াইন ফ্লু-তে ৪৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে ৬৯৫, রাজস্থানে ২৩০, তামিলনাডুতে ১২০, এবং কেরলে ১১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমের মতো ছোট রাজ্যে ডেঙ্গিতে ৮০ জন, ওড়িশায় ৮৩ জন মারা গেছেন। এদিকে একটি বেসরকারি হিসাব বলছে গত বছর ডেঙ্গুতে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০,১৪০, মৃতের সংখ্যা ৪০। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,২৩৮, মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। বিধাননগর পুরসভা এলাকায় সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫০০। যদিও সংবাদ সূত্রে খবর, সংখ্যাটা ছিল এর দ্বিগুণ। উত্তর ২৪ পরগনায় সরকারি হিসেবে (জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট অনুযায়ী) ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৯৩৯, মৃত্যু ১৭ জনের। তবে হাবড়া এবং বারাসাতের ব্লকগুলিতে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্য দেখানো হয়েছে সরকারি রিপোর্টে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ দমদমে চারজন এবং দেগঙ্গায় মাত্র দুজন মারা গেছেন!

আরও পড়ুন: Nipah Virus: অযথা আতঙ্কের কারণ নেই, বলছে স্বাস্থ্য দপ্তর

এমন বিভিন্ন কারণে স্বভাবতই বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পুরসভা এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে। ডেঙ্গির প্রকোপের প্রকৃত চিত্র গোপন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে মিডিয়া এবং বিরোধী দলগুলি।

এবছর ডেঙ্গি প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, "সারাবছরই ওয়ার্ড লেভেল, বোরো লেভেল, সেন্ট্রাল লেভেলে আমাদের ফ্রি-টায়াল সার্ভেলেন্স চলতে থাক। একটা রোড ম্যাপ ছকা থাকে এক্ষেত্রে, সেই ম্যাপ অনুযায়ী আমরা কাজ করি সারা বছর ধরে। আসলে ডেঙ্গুর আক্রমনের কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। যেহেতু বর্ষার সময় বৃষ্টির কারণে অ্যাডিশনাল বহু ওয়াটার পকেট তৈরি হয়, সেই কারণে বর্ষায় ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব বাড়ে। তাই আমাদের স্লোগানই হল 'সজাগ থাকুন বছর ভর, জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর'। পুরো বছরটা জুড়েই আমরা একইরকম তৎপরতায় কাজ করি। সপ্তাহে একদিন করে আমাদের কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন, এছাড়াও বহু কাজ চলতে থাকে সারা বছরই।"

Also read: Kerala Nipah outbreak: Health squads raised, surveillance expanded to prevent second wave

গতবছর ডেঙ্গি নিয়ে নবান্নে একটি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডেঙ্গি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। সরকারিভাবে রাজ্যে ১৩ জনের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে। বাকি যাঁদের কথা বলা হচ্ছে তাঁদের মৃত্যু যে ডেঙ্গিতেই হয়েছে তা সঠিক নয়, এটা কোন অজানা জ্বরও হতে পারে। বৈঠকে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। রাজ্য সরকারের তরফে ডেঙ্গি প্রতিরোধের সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই বৈঠকে তিনি কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজ না করলে পুরসভা ভেঙে দেওয়া হতে পারে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রীদের নিজের এলাকায় পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের কাজের ওপর নজরদারি করার নির্দেশ দেন।

যে সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব বেশি সেসব জায়গায় বিশেষ অভিযান চালাতে বলা হয়েছিল সরকারের তরফে। প্রতিটা এলাকায় ক্যাম্পের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি বাড়ি-বাড়ি গিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার করারও নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বছর বিপদের আশঙ্কা করে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জানুয়ারী শুরুতেই রাজ্য সরকার সবরকম আগাম ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বলে খবর।

Kolkata Municipal Corporation
Advertisment