প্রেসিডেন্সির হিন্দু হস্টেলের রফা হতে পারে ১৫ নভেম্বরের মধ্যেই, শুক্রবারের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে এমনটাই জানানো হল পি ডব্লু ডি-র (PWD) তরফে। গত ১ অক্টোবর থেকে হিন্দু হস্টেলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন ১০ জন ছাত্রছাত্রী। এমত পরিস্থিতিতে শুক্রবার পি ডব্লু ডির সঙ্গে বৈঠক ডাকেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র প্রতিনিধিরাও ৷ বৈঠকে জানানো হয়, আগামি ১৫ নভেম্বরের মধ্যেই হস্টেল সারানোর সমস্ত কাজ শেষ করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হিন্দু হস্টেলের দাবিতে শেষে আমরণ অনশনে প্রেসিডেন্সির পড়ুযারা
হিন্দু হোস্টেল নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে পি ডব্লু ডি-র হাতে। কাজেই তাঁদের ছাড়পত্র ছাড়া ছাত্রদের থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না। যদিও এ দিনের পি ডব্লু ডির বৈঠকের পরও খুশী নন ছাত্ররা। তাঁদের দাবি, শুধুমাত্র মুখের কথাতেই হস্টেল হস্তান্তরের আশ্বাস দিয়েছেন পি ডব্লু ডি। আন্দোলনকারীরা এ কথা সাফ জানিয়েছেন কোনও লিখিত বিবৃতি ছাড়া অনশন তুলবেন না। পাশাপাশি শুক্রবার একটি জেনারেল বডি মিটিংয়ের পরই পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা, অনশন চলবে নাকি তা তুলে নেওয়া হবে সে বিষয়েও জানানো হবে জিবির পরেই।
প্রসঙ্গত, হিন্দু হস্টেলের দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিকী অনশনে বসেছেন প্রায় ৬২ জন। ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মামন বাদশা, নীলাঞ্জন খাসনবিশ, অনিত বৈদ্য, সুমিত মণ্ডল। দুজনকে ভর্তি করা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সব মিলিয়ে হিন্দু হস্টেলের দুটি ব্লক, অর্থাৎ বিল্ডিং ১-এর দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত। বার্ষিক সমাবর্তনের আগের দিন, অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর, মেন গেটে তালা ঝুলিয়ে সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটিও গড়েছেন কর্তৃপক্ষে, কারা কেন এমন কাজ করেছিলেন সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হিন্দু হস্টেল ঘিরে চাপানউতোর চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। শুক্রবার পি ডব্লু ডির বৈঠকের পর আদৌ কোনও সুরাহা মিলবে কিনা এখন সেটাই দেখার।