মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুপিয়ে খুন করা হল বিজেপি যুব মোর্চার এক নেতাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এদিকে কর্ণাটকের আজ মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই তাঁর সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। মঙ্গলবার খুন হওয়া বিজেপি নেতার হত্যার মধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাইয়ের এই অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত। আজই নিহত বিজেপি যুব মোর্চার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মুখমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি বাইকে চড়ে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী প্রবীণ নেত্তারুকে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেলারে গ্রামে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: <কুবেরের ধন! অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে মিলল প্রায় ২৮ কোটি টাকা, উদ্ধার ঝুড়ি-ঝুড়ি সোনা>
আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ব্যাঙ্গালুরু এবং উদুপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও পাঠানো হয়েছে। এদিকে বিজেপি নেতার হত্যার ঘটনা সামনে আসতেই দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা কর্মীদের বচসা বাঁধে। দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
কয়েকটি জায়গায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। অভিযুক্তদের ধরতে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার রুশিকেশ সোনানা বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের পাঁচটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পাঁচটির মধ্যে তিনটি দলকে যথাক্রমে কেরালা এবং কর্ণাটকের মাদিকেরি এবং হাসানে পাঠানো হয়েছে,”।
আরও পড়ুন: <‘কান’ টেনে আরও ‘মাথা’র হদিশ চায় ইডি, পার্থর প্রাক্তন OSD-কে তলব ED-র>
এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই। দোষীদের শীঘ্রই গ্রেফতার এবং শাস্তির আশ্বাসও দেন তিনি। টুইটারে শোক বার্তায় তিনি বিজেপি নেতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এই জঘন্য খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। ব্যাঙ্গালুরুর পুলিশ সুপার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “ মিডিয়া ফুটেজের প্রেক্ষিপ্তে আমরা দোষীদের খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছি”।
এদিকে এই ঘটনায় দলের অভ্যন্তরেই বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা কর্মী এই ঘটনায় সরকারের প্রতি তাদের ক্ষোভ উগরে দেন। পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ মঙ্গলবার বিজেপি নেতার খুনের সঙ্গে গত ১৯ জুলাই রাজ্যের অপর একটি খুনের ঘটনার যোগ থাকতে পারে।
কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেছেন, সন্দেহভাজনরা কেরালা থেকে এসেছেন। “আমরা এসপির নেতৃত্বে পাঁচটি দল গঠন করেছি এবং তদন্ত চলছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১০ জনকে হেফাজতে নিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । আমরা ন্যায়বিচার নিশ্চিত করব,” ।