গত সপ্তাহে প্যানগং লেকের কাছে চিন এবং ভারত- উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর মঙ্গলবার পূর্ব লাদাখের কাছে ভারত-চিন সীমান্তে চিনের একটি হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যায়। ঝুঁকি এড়াতে ভারতীয় বায়ু সেনার কপ্টার এসইউ-৩০ ওড়ানো হয়। সীমান্তে পাঠানো হয় বাড়তি বাহিনী। ফলে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। তবে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে বাড়তি সেনা পাঠানোর বিষয়টি খারিজ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর পিআরও কর্নেল আমান আনন্দ জানান, 'প্যানগং মুখোমুখি যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাড়তি বাহিনী পাঠিয়ে সেনা প্রস্তুতি করা হচ্ছে না।'
সেনার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, 'ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে স্থানীয়স্তরে কথা বলে বিরোধ মিটিয়ে ফেলা হয়েছে। সীমান্ত বিরোধের জেরেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।' তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, ফিঙ্গার আটে নজরদারির ঘিরেই দুই দেশের সেনার বিরোধ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন- লাদাখের কাছে দেখা গেল চিনের হেলিকপ্টার, ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা
গত সপ্তাহের সংঘর্ষের জেরে ইন্দো-চিন সীমান্তে যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল থাকার কারণে উভয় দেশের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয় বলে জানিয়েছে সূত্র। যদিও এও বলা হয়েছে যে চিনের সামরিক হেলিকপ্টার সীমান্তে আসার পর ভারতীয় সেনাদের হেলিকপ্টারও সীমান্তের দিকে ধাওয়া করে। উল্লেখ্য, গত ৬ বছর আগে সীমান্তের ফিঙ্গার ৪-য়ে নির্মাণ কাজ চালানোর চেষ্টা করেছিল চিন। বাধা দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। কিন্তু, ২০১৭ সালে লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিনের সেনা জওয়ানরা হাতাহাতি-পাথর ছোড়াছুড়িতে জড়িয়ে পড়েছিল। তিনেক আগে চিনের ডোকলাম সড়ক নির্মাণের বিরোধ করেছিল ভারত। ওই এলাকা ভূটান ও চিন- দুপক্ষই নিজেদের বলে দাবি করে। সেই সময় টানা ৭৩ দিন ধরে ভারত-চিন দুই দেশের সেনা মুখোমুখি অবস্থান করেছিল।
প্রসঙ্গত, ৫ মে প্যানগং লেকে ভারতীয় ও চিনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়ে। এমনকি পাথর ছোঁড়াছুঁড়িও হয়েছিল বলে খবর। উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনা আহত হয় ওই ঘটনায়। এদিকে শনিবারই সিকিমের নাকুলা পাস ইন্দো-চিন সীমান্তে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায় ১৫০ সেনা। জানা গিয়েছে গোটা ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ জন সেনা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন