লখিমপুরকাণ্ডে প্রবল বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। চাপ বাড়ছে যোগী সরকারের উপর। এই অবস্থায় লখিমপুরে মৃত কৃষকদের পরিবারবর্গকে আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। মৃতদের পরিবারকে ৪৫ লাখ ও আহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছে যোগী সরকার। পাশাপাশি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই ঘটনার তদন্ত চলবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে নয়া তিন কৃষি আইনের বিপক্ষে বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর গাড়ি চালিয়ে দিয়ে কৃষকদের পিষে মারার ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলের বিরুদ্ধে। এরপরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় লখিমপুর খেরি। সংযুক্ত কিষান মোর্চার দাবি ছিল, মন্ত্রীর ছেলের গাড়িতে পিষ্ট হয়ে অন্তত চারজন কৃষক মারা গেছেন। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানায় ওই ঘটনায় ৪ কৃষক সহ মৃত্যু হয়েছে মোট ৮ জনের। গুরুতর জখম ১৫ জন।
এই ঘটনার পর থেকেই কৃষকরা অবরোধ, বিক্ষোভ শুরু করেন। অবশেষে সোমবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে প্রতিশ্রুতি মেলার পর অবরোধ, বিক্ষোভ উঠে যায়। পুলিশের সঙ্গে এদিন সকালে আলোচনার পর কৃষকরা মৃতদেহগুলিময়নাতদন্ত ও দাহ করতে রাজি হয়। বাকি চারটে দেহের অটোপ্সি হবে বলে জানায় পুলিশ।
কৃষক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ বাড়তেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন যে, দুর্ঘটনার সময় তাঁর ছেলে আশিস সেখানে ছিলেন না। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে, ‘আট নিহতের মধ্যে নি চারজন হলেন বিজেপি কর্মী এবং একজন গাড়ির চালক। এঁরা আন্দোলনকারী কৃষকদের তলোয়ার ও লাঠি নিয়ে হামলার জেরে নিহত হয়েছেন।’ তবে, মন্ত্রী-পুত্র আশিসের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
লখিমপুরে নিহত কৃষকদের পরিবারগুলিকে শান্তনা দিতে এ দিন ভোরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লখিমপুরের দিকে রওনা হলে তাঁকে হরগাঁওয়ে আটক করে পুলিশ। ধরনায় বসে পড়েন তার সঙ্গে থাকা কংগ্রেস নেতারা। বেলা বাড়তেই ঘটনাস্থলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন সপা নেতা অখিলেশ যাদব। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন