দীর্ঘদিনের বান্ধবীকে বিয়ে করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব। আরজেডি নেতার এই বিয়ে ঘিরে সবার কৌতূহল তুঙ্গে। একজন খ্রিস্টানকে বিয়ে করেছেন তেজস্বী। বিয়ের পর নামও পরিবর্তন করে হিন্দু হয়েছেন তেজস্বীর বান্ধবী। কিন্তু এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি তেজস্বীর মামা তথা লালু প্রসাদ যাদবের শ্যালক সাধু যাদব।
জানা গিয়েছে, লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবীর বড় ভাই সাধুর এই বিয়ে নিয়ে আপত্তি রয়েছে। একজন খ্রিস্টানকে বিয়ে করায় বেজায় অসন্তুষ্ট তিনি। তেজস্বীর বিয়েতে পরিবারের অনেকেই আমন্ত্রিত ছিলেন না। সেটাও একটা বড় কারণ হতে পারে বিয়েতে আপত্তির। কিন্তু অনেক দিন পর তেজস্বীর বিয়ে ইস্যুতে মুখ খুলে ফের শিরোনামে সাধু যাদব।
একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা এই প্রাক্তন সাংসদ। বলিউড ব্লকবাস্টার ছবি গঙ্গাজলের প্রযোজক ছিলেন সাধু। সাধুর দৌলতে বলিউডে কামব্যাক করেন পরিচালক নির্মাতা প্রকাশ ঝা। এমনকী ছবির মূল খল চরিত্রের নামও ছিল সাধু যাদব। সে কারণে ভগ্নিপতি লালু প্রসাদের চক্রান্ত ছিল বলে অভিযোগ করেন সাধু।
গত ২০০৪ সালে গোপালগঞ্জ থেকে আরজেডির টিকিটে প্রথমবার সাংসদ হন তিনি। তারপর আর সৌভাগ্য হয়নি তাঁর। সাধুর দাবি, তাঁর দুই ভাগ্নে তেজপ্রতাপ এবং তেজস্বী পরিবারের সম্মানহানি করেছেন। তাঁদের এই কাজ সম্পর্কে বিহারের সমস্ত আধিকারিক, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও জানেন।
আরও পড়ুন ‘আমি একজন হিন্দু, হিন্দুত্ববাদী নই’, বিজেপিকে আক্রমণ করে বললেন রাহুল
সাধু বলেছেন, "তেজপ্রতাপ এবং তেজস্বী পরিবারের যে সম্মান নষ্ট করেছেন তার জন্য অন্য সদস্যদের বিয়ে নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।" আত্মীয়-স্বজনদের সম্মান নষ্ট করেছেন বলে সাধুর দাবি। এদিকে, তেজস্বীর দাদা তেজপ্রতাপ মামার বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়ে ভোজপুরিতে টুইট করেছেন। মামাকে সাবধান করে তিনি বলেছেন, ঝুলি থেকে এবার বিড়াল বেরোচ্ছে।
অন্যদিকে, তেজস্বীর বিয়ে নিয়ে বিহারের রাজনৈতিক মহলেও জোর চর্চা। বিজেপির ওবিসি মোর্চার জাতীয় সম্পাদক নিখিল আনন্দ টুইটে তেজস্বীকে খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, তেজস্বী আরও সাহস দেখাতে পারত যদি প্রেমিকার ধর্ম পরিবর্তন না করে বিয়ে করতেন। কিন্তু লালুর পরিবারের কেউ কোথাও জানায়নি যে বিয়ের আগে তেজস্বীর বান্ধবী রেচেল আইরিস হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন