Abu Qatal killed in Pakistan: পাকিস্তানে ভারতের আরও এক বড় শত্রু নিহত! পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈয়বার এক শীর্ষ জঙ্গি নেতা আবু কাতাল নিহত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ এই জঙ্গি নেতা জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার 'মাস্টার মাইন্ড' ছিলেন।
পাকিস্তানের ভয়ঙ্কর জঙ্গি এবং লস্কর-ই-তৈয়বার মোস্ট ওয়ান্টেড কমান্ডার আবু কাতাল সিংহি অবশেষে নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে পাকিস্তানে লস্কর-ই-তৈয়বার মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী আবু কাতালকে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ তাকে হত্যা করা হয় বলেই জানা গিয়েছে।
ভারতে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এই জঙ্গিকে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ওয়ান্টেড বলে ঘোষণা করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কাছে তাকে ধরা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।
আবু কাতাল ছিলেন লস্কর-ই-তৈয়বা প্রধান এবং ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হাফিজ সাঈদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগী। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলায় ১৬৬ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান। আবু কাতালকে জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক জঙ্গি হামলা চালানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন হাফিজ সাঈদ নিজেই এবং তাকে লস্করের প্রধান অপারেশনাল কমান্ডার করা হয়েছিল।
আবু কাতালের মৃত্যু লস্কর-ই-তৈয়বা এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ভারতে বেশ কয়েকটি হামলার পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনি। ৯ জুন জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের উপর হামলার পিছনেও ছিলেন আবু কাতাল সিংহি।
২০২৩ সালের রাজৌরি হামলার জন্যও আবু কাতালকে দায়ী করেছিল এনআইএ, যেখানে নিরীহ সাধারণ নাগরিকদের টার্গেট করা হয়। এর পাশাপাশি ১ জানুয়ারি , ২০২৩ তারিখে, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় ধাঙ্গরি গ্রামে নিরীহ নাগরিকদের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। পরের দিনও একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। এই হামলায় দুই শিশুসহ সাতজন সাধারণ নাগরিক নিহত এবং অনেকেই গুরুতর আহত হন। এনআইএ তদন্তে দেখা গেছে যে তিন পাকিস্তানি লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি এই হামলায় জড়িত ছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল আবু কাতাল।