Advertisment

তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার চিন্ময়ানন্দকাণ্ডের অভিযোগকারিণী

শাহজাহানপুরের স্থানীয় আদালত মঙ্গলবার ওই ছাত্রীর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন শুনতে রাজি হয়। শুনানির দিন ছিল বৃহস্পতিবার। তার আগেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Chinmayanand

বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দ

ধর্ষণের অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দকে। এবার গ্রেফতার করা হল অভিযোগকারিণী আইনের ছাত্রীকে। বুধবার সকালে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা গ্রেফতার করে বছর তেইশের ওই তরুণীকে। অভিযুক্তের থেকে প্রায় ৫কোটি টাকা তোলাবাজির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisment

এদিন সকালে শাহজাহানপুরের ওই আইনের ছাত্রীকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই আদালত তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তরণীর পরিবারের অভিয়োগ, বাড়িতে এসে একপ্রকার তাণ্ডব চালিয়েই গ্রেফতার করা হয়েছে মেয়েকে। বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান নবীন অরোরা জানিয়েছেন, 'অভিযুক্ত চিন্ময়ানন্দের থেকে ৫ কোটি তোলাবাজির চেষ্টা করায় এই পদক্ষেপ। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে। তার ভিত্তিতেই এই গ্রেফতারি।'

অন্যদিকে, চিন্ময়ানন্দের সঙ্গে দলের সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছে বিজেপি। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বিজেপির মুখপাত্র এইচ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘উনি আর বিজেপির সদস্য নন’’।

আরও পড়ুন:  অযোধ্যা মামলা: ‘রাম চবুতরাকে রামের জন্মভূমি হিসেবে মানি না’, সাফ জানাল ওয়াকফ বোর্ড

শাহজাহানপুরের স্থানীয় এক আদালত মঙ্গলবারই ওই ছাত্রীর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন শুনতে রাজি হয়। শুনানির দিন ধার্য হয় আগামী বৃহস্পতিবার। তার আগেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে। এর পিছনে যোগী সরকারের ষড়য়ন্ত্র দেখছেন ধৃতের পরিবার। তরণীর ভাইয়ের অভিযোগ, 'এর ফলে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হল। এদিন সকালে বাড়িতে এসে প্রথমে পুলিশ বোনের সঙ্গে কথা বলে। পরে, জানায় গ্রেফতারের কথা। বোন যেতে অস্বীকার করলে ওকে জোর করে গাড়িকতে তোলা হয়।'

আরও পড়ুন: ‘গুমনামী’-র মুক্তিতে বাধা নেই, কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ জনস্বার্থ মামলা

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ন্দুক দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দ। গত ২৪ অগস্ট বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ এনেছিলেন এই ছাত্রী। এছাড়া ওই নেতা তাকে বিভিন্ন সময়ে ব্ল্যাকমেল করেছে বলেও অভিয়োগ করে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত হয় সিট। হাইকোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়, এই মামলার তদন্তপ্রক্রিয়া নজরে রাখতে এবং অভিযোগকারিণীর পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে। বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে মোট ৪৩টি ভিডিও তুলে দিয়েছে অভিযোগকারিণী। সিটের তরফে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় চিন্ময়ানন্দকে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

চিন্ময়ানন্দের আইনজীবী অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধে পাল্টা তোলাবাজির অভিযোগ আনেন। তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয় তরুণীকে। এর আগে তরণীর তিন বন্ধুকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল।

Read the full story in English

national news
Advertisment