সংযুক্ত আরব আমিরশাহী রাজপরিবারের সদস্য পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ। দিল্লি পুলিশের জালে কর্ণাটকের বাসিন্দা। ধৃত মহম্মদ শরিফের বিরুদ্ধে দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে ২৩ লক্ষ টাকা বিল না মেটানোর অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত মহম্মদ শরিফ (৪১) দিল্লির বিলাসবহুল হোটেল লীলা প্যালেসে তিন মাসের বেশি সময় ধরে ছিলেন। পরে হোটেলের বেশ কিছু মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে চম্পট দেন।
গত ১৪ জানুয়ারি দিল্লির সরোজিনী নগর থানায় অইযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে হোটেল কর্তৃপক্ষ। এরপরই দিল্লি পুলিশের জালে অভিযুক্ত। কর্নাটকের কান্নাডার বাসিন্দা মহম্মদ শরিফের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে সরোজিনী নগর থানার পুলিশ।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের ১ অগাস্ট দিল্লির বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেলে ওঠেন অভিভুক্ত মহম্মদ শরিফ। তিনি নিজেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী রাজপরিবারের সদস্য বলেও পরিচয় দেন। প্রমাণ স্বরূপ বিজনেস কার্ড, সহ বেশ কিছু ভুয়ো নথি হোটেল কর্তৃপক্ষকে দেখান ওই ব্যক্তি। পুলিশ আরও জানায়, শরিফ একটি জাল বিজনেস কার্ড তৈরি করে প্রায় তিন মাস হোটেলে থাকাকালীন সময়ে হোটেলের ঘর থেকে কিছু মূল্যবান সামগ্রী চুরি করেন। দিল্লির লীলা প্যালসে হোটেলের প্রায় ২৩ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার বেশি বিল পরিশোধ না করেই তিনি চম্পট দেন।
আরও পড়ুন: < ‘সুপারসাইজ বেবি’র জন্ম দিলেন মহিলা! উচ্চতা ও ওজন দেখে চোখ কপালে চিকিৎসকদের >
হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার অনুপম দাস গুপ্ত সরোজিনী নগর থানায় এবিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ১৪ জানুয়ারি এফআইআর দায়ের করে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, “অনুপম দাস গুপ্তার অভিযোগের ভিত্তিতে, সরোজিনী নগর থানার পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইপিসির 419/420/380 ধারার অধীনে একটি মামলা রুজু করে”।
হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে শরিফ গতবছর আগস্ট, থেকে নভেম্বর, পর্যন্ত পাঁচ তারা হোটেল লীলা প্যালেসে ছিলেন এবং কাউকে কিছু না জানিয়েই হোটেল ছাড়েন। সেই সময় হোটেলের ঘর থেকে রুপার পাত্র এবং অন্যান্য কিছু মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে চম্পট দেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ২৪ লক্ষ টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ না করেই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি হোটেল থেকে পালিয়ে যান। কর্তৃপক্ষের অভিযোগে শনিবার শরিফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে একাধিক দল গঠন করে দিল্লি পুলিশ।
ডিসিপি (দক্ষিণ-পশ্চিম) মনোজ সি বলেছেন, "প্রযুক্তিগত নজরদারির ভিত্তিতে, অভিযুক্তকে খুঁজে বের করা হয় এবং অবশেষে বেঙ্গালুরুতে তার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।" তাকে আদালতে তোলা হলে আদালত অভিযুক্ত শরিফকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।