ভোটার তালিকায় নথিভূক্ত যাদের নাম চূড়ান্ত এনআরসির তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তাদের এখনই 'সন্দেহভাজন' ভোটার বলে চিহ্নিত করা হবে না। নির্বাচন কমিশনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এই খবর জানান।
'সন্দেহভাজন' বা 'ডি ভোটার' হলেন তারাই, যাদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ১৯৯৭ সালে ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় এই বিষয়টি চালু করেছিল নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে শুক্রবার হাজিরা এড়ালেন মুকুল, শনিবার ফের সিবিআই তলব
আসামের রাজনীতিতে রয়ে গিয়েছে 'ডি ভোটারদের' অস্তিত্ব। এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা ঘিরে আসামে হাহাকার। তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রায় ১৯ লক্ষের নাম। বাদ পড়াদের অনেকেরই রয়েছে বৈধ ভোটার কার্ড। যদিও, তাদের নাম ভোটার তালিকায় নথিভূক্ত রয়েছে। কিন্তু, এনআরসি তালিকায় নাম থাকায় তাদের 'সন্দেহভাজন' বা 'ডি' ভোটার বলে সম্বোধন করা হচ্ছে। তাদের ভাগ্য এখনও অনিশ্চিৎ। চলতি বছরের লোকসভা ভোটে এনআরসির খসড়া তালিকায় নাম থাকা প্রায় ১.২ লক্ষ 'ডি ভোটার' ভোট দিতে পারেননি।
যদিও ২০১৮ সালের আগস্টে তৎকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়াত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছিলেন, 'এনআরসি-তে নাম না থাকলে সেই ব্যক্তির ভারতীয় নাগরিকত্ব সন্দেহের মুখে পড়ছে না। ধরা যাক আমি আসামে চাকরি করি, কিন্তু জন্মেছি মধ্যপ্রদেশে। এরকম ক্ষেত্রে যদি আমার নাম এনআরসি -তে না থাকে, তাহলে কি আমি ভারতীয় নাগরিক নই? এরকম বলা যায় না।'
আরও পড়ুন: হার্ড ল্যান্ডিংয়ের ফলেই ইসরোর সঙ্গে বিক্রম ল্যান্ডারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন: নাসা
চলতি বছরের ৩০ আগস্ট প্রকাশিত হয় এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। সেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম। তাদের পরিণতি কী হবে? তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। আপাতত, তালিকা থেকে নাম বাদ পড়া মানুষগুলোকে ফরেন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হবে। তারপরও রয়েছে আদালতের রায়। এই সময়কালে এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়াদের সন্দেহভাজন বলে চিহ্নিত করা যাবে না বলে জানিয়েছে কমিশন।
গত ২০ আগস্ট,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় চূড়ান্ত এনআরসি তালিকায় নাম না থাকার মানে এই নয় যে সেই ব্যক্তিকে বিদেশি বলে গণ্য করা হবে।
Read the full story in English