Advertisment

সরকার স্বচ্ছ, সেই কারণেই কমেছে আরটিআই আবেদনের সংখ্যা: অমিত শাহ

দেশে বিরোধী নেতারা যখন আরটিআই আইনের সংশোধনী নিয়ে সরকারকে একের পর এক আক্রমণে বিদ্ধ করছে সেই সময় অমিত শাহের এই বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
amit shah, অমিত শাহ

অমিত শাহ। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

নরেন্দ্র মোদী সরকার এতোটাই স্বচ্ছ শাসনব্যবস্থা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে যে কমে আসছে তথ্য অধিকার আইন (আরটিআই) প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা, শনিবার কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের চোদ্দতম বার্ষিক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্যই করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্য, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এমন একটি ব্যবস্থা চালু করছেন যেখানে সরকার স্বতপ্রণোদিতভাবে তাঁর কাজের খতিয়ান জনসাধারণের সামনে তুলে ধরছেন। ফলে আরটিআই প্রয়োগ করে তথ্য জানার আবেদনের সংখ্যাও ক্রমশ কমছে।"

Advertisment

আরও পড়ুন- জাতীয়তাবাদ বলতেই সবাই হিটলারকে ভাবেন, কিন্তু ভারতে এর অর্থ ভিন্ন: মোহন ভাগবত

উল্লেখ্য, দেশে বিরোধী নেতারা যখন আরটিআই আইনের সংশোধনী নিয়ে সরকারকে একের পর এক আক্রমণে বিদ্ধ করছে সেই সময় অমিত শাহের এই বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রির মত, যারা এই আইনে বদল আনতে চাইছে তাঁরা আসলে আইনের নেপথ্যের মনোভাবকেই দুর্বল করে দিতে চাইছে। অমিত শাহ বলেন, "একটি স্বচ্ছ সরকারের সাফল্য আরটিআইয়ের আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা নয়, বরং আইন থাকা সত্ত্বেও আবেদনের সংখ্যা কমে আসাটাই হল মূল সাফল্য। যেখানে সমস্ত সরকারি প্রকল্পের খুঁটিনাটি এখন মন্ত্রকের ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাচ্ছে।"

আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর ভাইঝির ব্যাগ ছিনতাইকাণ্ডে গ্রেফতার এক

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রীর বক্তব্য, "তবে আরটিআইয়ের অপব্যবহার বা ব্যক্তিগত শত্রুতার ক্ষেত্রে একে ব্যবহার করা যাবে না। আরটিআইয়ের ক্ষমতাকে সবসময়ই সাবধানতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত।" প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে তথ্যের অধিকার আইন পাশ করেছিল তৎকালীন মনমোহন সিংয়ের সরকার। অমিত শাহ বলেন, "যখন এই আইন পাস হয়েছিল তখনই মনে হয়েছিল এই আইনের অপব্যবহার হতে পারে।"

Read the full story in English

RTI amit shah
Advertisment