এক সপ্তাহ কম সময়ের মধ্যে লাগু হবে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন ২০১৯। আত্মপ্রকাশ করবে নতুন কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর। তার আগেই সরিয়ে দেওয়া হল রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে। তিনিই ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের শেষ রাজ্যপাল। আরেক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গোয়ার পাঠান হল তাঁকে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসাবে নাম ঘোষণা করা হল গিরিশ চন্দ্র মুর্মুর। এছাড়া, লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর হচ্ছেন রাধাকৃষ্ণ মাথুর।
Advertisment
১৯৮৫ ব্যাচের আইএস অফিসার গিরিশ চন্দ্র মুর্মু বর্তমানে অর্থমন্ত্রকের ব্যায় দফতরের সচিব হিসাবে কর্মরত। তাঁকেই করা হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর। অন্যদিকে, অবসরপ্রাপ্ত আইএস অফিসার রাধাকৃষ্ণ মাথুরকে লাদাখের প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্র। এরা দু'জনেই মোদী ঘনিষ্ট আমলা হিসাবেই পরিচিত। নতুন দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে উন্নয়মুখী করতে মুর্মু ও মাথুর কাজ করবেন।
গুজরাটে ইশরত জহান ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় সিবিআই মুর্মুকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিংয়ে অভিযোগ ওঠে, মুর্মু-সহ গুজরাটের মন্ত্রী-আমলারা ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে আলোচনা করছিলেন বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
এত দিন জম্মু-কাশ্মীরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কর্মরত, ইন্টেলিজেন্স বুরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর দিনেশ্বর শর্মাকে লক্ষদ্বীপের প্রশাসক নিয়োগ করা হচ্ছে।
মোদী-শাহ ঘনিষ্ট জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে কেন উপত্যকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল? তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, অতিরিক্ত কথা বলে নানা সময়ে বিতর্ক তৈরি করেছেন মালিক। বিব্রত হয়েছে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, 'রাজ্যপালের দফতরের ক্ষমতা অতি সীমিত।' স্বীকার করেছিলেন তিনি অতিরিক্ত কথা বলে ফেলেছেন। এইসব কারণেই তাঁকে সরানো হল সেখান থেকে।
৩৭০ ধারা রদ করে গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দুভাগে ভেঙে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ঘোষণা হয়। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ হবে দু'টি কেন্দ্র শাসিত আঞ্চল। আগামী ৩১ অক্টোবর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে জম্মু ও কাশ্মীর। তার আগেই শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নাম ঘোষণা করা হল রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে।