নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ক্রমশই অগ্নিগর্ভ হচ্ছে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। সেই আবহে বৃহস্পতিবারই ভারত সফর বাতিল করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সফর নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। মোদী সরকারের আমন্ত্রণে ভারত-আসাম শীর্ষ সম্মেলনে আসামে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আসামের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির জেরে সেই সফর বাতিল হতে পারে বলেই জানানো হয়েছে জাপানের সংবাদমাধ্যম জিজি প্রেসের তরফে। তারা বলেছে, “জাপান এবং ভারত সরকার এই সফর বাস্তবায়িত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব বিল এখন আইন, গভীর রাতে স্বাক্ষর রাষ্ট্রপতির
বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার অবশ্য বলেছেন, “সফর বাতিল নিয়ে কোনও খবর এখনও অবধি আমাদের কাছে নেই।” তবে সম্মেলন স্থানান্তরের বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে কি না তা জানতে চাওয়া হলে রাভীশ কুমার বলেন, “আমি এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলার জায়গায় নেই।” বুধবারই জাপানের এক প্রতিনিধিদল গুয়াহাটি ঘুরে গেছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। রিপোর্ট দিয়েছেন। তারপরেই শিনজো আবের ভারত সফর নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। এদিকে বৃহস্পতিবারই তিনদিনের ভারত সফর বাতিল করেন এ কে আব্দুল মোমেন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মহুয়া মৈত্র, ক্যাবকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা তৃণমূল সাংসদের
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সংসদে অমিত শাহের মন্তব্যর পরই বুধবার তাঁর প্রতিবাদ করেন মোমেন। সংসদে অমিত শাহ বলেন, “যতদিন শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন, ততদিন সব ঠিক ছিল। তাঁর সরকার চলে যেতেই সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন শুরু হয়। বহু সংখ্যক হিন্দু বাংলাদেশি ভারতে শরণার্থী হিসেবে আসতে চাইছেন।” এই কথার প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এই বক্তব্য অসত্য। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবচেয়ে বেশি।”