'কাল ছিল ডাল খালি/ আজ ফুলে যায় ভরে' যেমন হয়, উল্টোটাও হয় কিন্তু। আমরাই যা তার খবর রাখি না। ইউরোপের শেয়ার বাজারে ধ্বস নেমেই যা ঘটল তাকে আর অন্য কী ভাবে ব্যাখা করবেন। ইউরোপের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তির নাম শুনে থাকবেন। বার্নার্ড আর্নল্ট। চলতি সপ্তাহেই স্টক মার্কেটের ওঠা পড়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুইয়েছেন ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
রোজ রোজ খবরের কাগজের শিরোনামে টাকার পতনের হাল চাল দেখে ভাবেন বুঝি এমনটা শুধু এ দেশেই হয়। কিন্তু ব্যবসার ওঠা পড়া, শেয়ার বাজারে ধ্বস নামা আন্তর্জাতিক বাজারে একটা চেনা ছবিই বটে। দিন দুয়েক আগে শেয়ার বাজারের এই আচমকা ধ্বস রীতিমতো নাকানি চোবানি খাইয়েছে আন্তর্জাতিক শিল্পপতি মহলের রাঘব বোয়ালদের।
আরও পড়ুন, কাছের বন্ধু কোথায় আছে, জানুন ফেসবুক ম্যাপের মাধ্যমে
চিনা স্টক মার্কেটে ধ্বস নামায় তার প্রভাব অল্প বিস্তর সব জায়গাতেই পড়েছে। তাবড় তাবড় শিল্পপতি কিমবা সংস্থার এক এক দিনে ব্যবসা কতটা পড়েছে তাই নিয়ে এক লম্বা তালিকা তৈরি করেছে ব্লুমবার্গ। তালিকায় আর্নল্টের পরেই আছেন মোয়েট হেন্নেসি। বিল গেটসের রাতারাতি সম্পত্তি পড়েছে ৬৩ কোটি মার্কিন ডলারের।
প্রযুক্তির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা শিল্পোদ্যোগীদের ক্ষেত্রেও ছবিটা একই রকম। ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, গুগল সহ প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ, সার্জেই ব্রিন একদিনে খুইয়েছেন যথাক্রমে ১৪৫ কোটি, ১৪৬ কোটি এবং ১৪১ কোটি মার্কিন ডলার।
সূর্য ডোবার পালা এলে লাভের মুখ দেখেন এমন ব্যবসায়ী কী আর নেই তা বলে? এই যেমন ওয়ারেন বাফেট। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তিন নম্বরে নাম তাঁর। এক দিনে তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে ১২৩ কোটি মার্কিন ডলার। যে সমস্ত ব্যক্তি অথবা সংস্থা দিনের শেষে লাভের মুখ দেখেছেন, সেই তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে বাফেটই এক মাত্র বিলিয়নেয়ার।