সম্প্রদায়গত হিংসাকে গণপিটুনি নাম দিয়ে দেশের তথা সমগ্র হিন্দু সমাজের দুর্নাম করার চেষ্টা চলছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত তাঁর বিজয়াদশমীর ভাষণে এমনটাই দাবি করেছেন।
মোহন ভাগবত বলেছেন, "গণপ্রহার নামক শব্দটি ভারতের ঐতিহ্যে অনুপস্থিত এবং তা অন্য জায়গায় চলে।"
নাগপুরে আরএসএসের বার্ষিক অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত "শস্ত্র পূজা" করেন এদিন। তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে দেশের সাম্প্রতিক হিংসা, অর্থনীতি এবং ৩৭০ ধারা রদের প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন, ১১ জন তালিবান নেতার বিনিময়ে ৩ ভারতীয় ইঞ্জিনিয়রের মুক্তি
মোহন ভাগবত বলেন, "সম্প্রতি বেশ কছু ঘটনার কথা উঠে এসেছে যেখানে ভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্তরা একে অন্যকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, এরকম ঘটনা এক পাক্ষিক হতে পারে না এবং কিছু ঘটনা ইচ্ছাকৃতভাবে সাজানো হয়েছে বা বিকৃত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের হিংসার ঘটনা কোনও কোনও সময়ে আইন শৃঙ্খলার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং সমাজের মধ্যেকার আন্তঃসম্পর্ককে বিনষ্ট করেছে।"
ভাগবত বলেন, "এ ধরনের ঘটনা আমাদের ঐতিহ্যেও নেই এবং সংবিধানের অন্তর্বস্তুর সঙ্গেও তা খাপ খায় না।"
আরএসএস প্রধান বলেন, "সংঘ পরিবার এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের সমর্থন করে না এবং এ ধরনের প্রতিটি ঘটনার বিপক্ষে দাঁড়ায়। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে স্বয়ংসেবকরা সে দিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করে চলেছেন। কিন্তু এ ধরনের ঘটনাকে গণপিটুনি আখ্যা দেবার মাধ্যমে আমাদের দেশ এবং সমগ্র হিন্দু সমাজকে অসম্মান করার চেষ্টা চলছে এবং তথাকথিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি তৈরির চেষ্টা চলছে।" গণপিটুনি নামক শব্দ ভারতের ঐতিহ্যে নেই, এ অন্য জায়গার ব্যাপার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মোহন ভাগবত বলেছেন, "ভারত হল হিন্দুস্থান, হিন্দু রাষ্ট্র- এব্যাপারে আরএসএসের লক্ষ্য অতীব স্পষ্ট। হিন্দুত্ব হল কুটুম্বিতা এবং অন্তর্ভুক্তির বোধ যা রাষ্ট্রের চেতনা।"
ভাগবতের কথা টুইট করেছে আরএসএস। তিনি বলেছেন, "আমরা আমাদের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে দেখেছি যে সারা দেশে এবং গোটা পৃথিবীতে আমাদের জাতির সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে সবচেয়ে ভালভাবে প্রকাশ করা যায় 'হিন্দু' শব্দের মাধ্যমে। কেউ একে ভারতীয় বলেন, কেউ বলেন ইন্ডিক। সংঘের তাতে কোনও আপত্তি নেই।"
"আচার আচরণ, উপাসনা, খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন, রাজ্য বা ভাষায় ফারাক থাকলেও আমাদের সমাজ এক। কুটুম্বিতা এবং অন্তর্ভুক্তি আমাদর দেশের চেতনা। সেটাই হল হিন্দুত্ব। সংঘের কাজের ভিত্তি হল এটাই।"
Read the Full Story in English