Mahakumbh 2025 Expected Revenue: ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মহাকুম্ভ মেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উত্তরপ্রদেশ সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে বিশ্বের এই বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন কমপক্ষে ৪০ কোটি পূণার্থী। এর পাশাপাশি দেশ-বিদেশ থেকেও প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় ভিড় জমাচ্ছেন অজস্র ভক্তবৃন্দ। পর্যটন খাতে জোয়ার আনতে চলেছে এই মহাকুম্ভ মেলা। ২ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হবে এই মহাকুম্ভ উপলক্ষ্যে। এমনই রিপোর্ট সামনে এসেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান 'মহাকুম্ভ ২০২৫' সোমবার থেকে প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুইয়ারি পর্যন্ত চলা এই মহাকুম্ভ মেলায় ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মতে, বিশ্বের বৃহত্তম এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রায় ৪০ কোটি ভক্ত অংশ নেবেন। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT)-এর জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং দিল্লির চাঁদনী চক লোকসভা আসনের সাংসদ প্রবীণ খান্ডেলওয়াল বলেছেন যে, মহাকুম্ভ উপলক্ষ্যে ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি ভারত তথা বিশ্বের ধর্মীয় অর্থনীতির সবচেয়ে বড় কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে।
কুম্ভমেলার প্রতি হিন্দু ধর্মের মানুষদের অগাধ বিশ্বাস রয়েছে, তাই দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ভক্তবৃন্দ প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে আসছেন। ৪৫ দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান মহাকুম্ভ থেকে ২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকারের। CAIT জানিয়েছে স্থানীয় হোটেল, গেস্টহাউস এবং অস্থায়ী আবাসন থেকে ৪০,০০০ কোটি টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি, তেল, প্রদীপ, গঙ্গা জল, মূর্তি, ধূপকাঠি এবং ধর্মগ্রন্থ নৈবেদ্য বিক্রি থেকে ২০,০০০ কোটি টাকা আয় হতে পারে। মহাকুম্ভ মেলা প্রতি ১২ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত একটি প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান। মহাকুম্ভ ২০২৫ ১৩ জানুয়ারী থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলবে।
খান্ডেলওয়ালের মতে, মহাকুম্ভ উত্তরপ্রদেশ এবং জাতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। মহাকুম্ভের মতো অনুষ্ঠান স্থানীয় ব্যবসা, কর্মসংস্থান এবং পর্যটনকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে। এটি কেবল উত্তরপ্রদেশ নয়, সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। ২০২৫ সালের মহাকুম্ভ কেবল বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার কেন্দ্র নয়, বরং ভারতের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীকও। এই অনুষ্ঠানটি ভারতের ধর্মীয় অর্থনীতিকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরবে এবং উত্তরপ্রদেশকে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করবে।