করোনাতঙ্কে মন্দির-মসজিদ সহ একাধিক ধর্মীয়স্থান খোলা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল। যা নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরের হিন্দুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। এবার সংঘাতের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে সমস্ত ধর্মীয়স্থল খোলার সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। আগামী সোমবার, ১৬ নভেম্বর থেকে খুলে যাবে ধর্মস্থলগুলি।
গত ২৫ মার্চ থেকে ভক্তদের জন্য মন্দিরগুলি বন্ধ রয়েছে। গোটা দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে বন্ধ রাখা হয় ধর্মস্থলগুলি। তবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, সংক্রমণ রুখতে ধর্মস্থল বন্ধ থাকলেও ঈশ্বর ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর রূপে ভক্তদের দেখভাল করেছেন। বর্তমানে মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তার মধ্যেও পারিপার্শ্বিক চাপে ভক্তদের জন্য ধর্মস্থলগুলি খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তিনি জানিয়েছেন, "ভুললে চলবে না, করোনাভাইরাস এখনও আমাদের মধ্যে রয়েছে। এখন সেই করোনাসুর কিছুটা নিস্তেজ হলেও আমাদের সজাগ থাকতে হবে। নাগরিকদের অনুশাসন মানতে হবে।"
আরও পড়ুন ‘হিন্দুদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করছে কেন্দ্র’, বিস্ফোরক নির্বাণী আখড়া প্রধান
তিনি জানিয়েছেন, কোভিড বিধি মেনে গণেশ চতুর্থী, নবরাত্রি, ইদ, মাউন্ট মেরি উৎসব পালন হয়েছে। মানুষ কোভিড প্রোটোকল মেনে ঈশ্বরের আরাধনা করেছেন। তাই এবার ধর্মস্থলগুলি খুললেও একইভাবে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে সাধারণ মানুষকে। প্রসঙ্গত, ধর্মস্থল বন্ধ রাখার জন্য বিজেপি এবং রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত তৈরি হয় রাজ্য সরকারের। তবে বিতর্ক দূরে রেখে সাধারণ মানুষের আর্জি মেনে ধর্মস্থল খোলার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন