আরও একজনের শরীরে পাওয়া গেল ওমিক্রন সংক্রমণ। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন ফেরত এক ৩৩ বছর বয়সী যাত্রীর শরীরের মিলেছে মারণ ভাইরাসের নয়া প্রজাতির সন্ধান। গত ২৪ নভেম্বর তিনি কেপ টাউন থেকে মুম্বইয়ে আসেন। কেপ টাউন থেকে ভায়া দুবাই দিল্লি পৌঁছন তিনি। তারপর আসেন মুম্বইয়ে। মহারাষ্ট্রে এটাই প্রথম ওমিক্রন কেস।
জানা গিয়েছে, ওই যুবক কল্যাণ-ডোম্বিভলি এলাকার বাসিন্দা। এবং তিনি এখনও কোনও টিকা নেননি। গত ২৪ নভেম্বর ওই যাত্রীর সামান্য জ্বর আসে। এছাড়াও আর কোনও উপসর্গ পাওয়া যায়নি তাঁর শরীরে। তাঁকে কল্যাণ-ডোম্বিভলির কোভিড কেয়ার সেন্টারে রাখা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা ১২ জন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি এবং ২৩ জন কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। পাশাপাশি, দিল্লি-মুম্বই বিমানের ২৫ জন যাত্রীর কোভিড টেস্ট রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। তাঁর সংস্পর্শে আসা আরও মানুষের সন্ধান চলছে।
এই নিয়ে ভারতে ওমিক্রন আক্রান্ত চতুর্থ ব্যক্তির হদিশ মিলল। এর আগে কর্নাটকে দু’জনের শরীরে ওমিক্রন ভাইরাসের হদিশ মেলে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন পেশায় চিকিৎসক ৪৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। ওমিক্রন আক্রান্ত অন্যজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক। আজ, শনিবার তৃতীয় ব্যক্তির সন্ধান মেলে গুজরাতের জামনগরে। জিম্বাবোয়ে থেকে ফিরেছিলেন ৭১ বছরের বৃদ্ধ।
আরও পড়ুন উদ্বেগ চরমে, আরও এক ‘ওমিক্রন’ আক্রান্তের হদিশ ভারতে
এদিকে, ওমিক্রন মোকাবিলায় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করে আবারও চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই মতো রাজ্যে-রাজ্যে জোরদার তৎপরতার সঙ্গে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ওমিক্রন আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসায় নির্দিষ্ট কিছু হাসপাতালকে তৈরি রাখা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন