গুরুদক্ষিণার বহর দেখে যে কেউ চমকে উঠবেন। দক্ষিণা কী না চার চাকা! পরীক্ষায় পড়ুয়ারা পাশ করেছে বলে কথা। তাও আবার যেমন তেমন পরীক্ষা নয়, সরকারি স্কলারশিপ পরীক্ষা। যে পরীক্ষায় বসে বাজিমাৎ করেছে ১৯ জন পড়ুয়া। আর এই খুশিতেই উপহার হিসেবে শিক্ষিকাকে গাড়ি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এমন ঘটনারই সাক্ষী মহারাষ্ট্রের শিরুর তালুকার পিম্পল খালসা গ্রাম। যে গ্রামবাসীদের গুরুদক্ষিণা এই মুহূর্তে টক অফ দ্য টাউন।
ওই এলাকার জেলা পরিষদ স্কুলের শিক্ষিকা ললিতা ধুমল। যাঁকে নিয়ে মাতামাতি গ্রামবাসীদের। এই শিক্ষিকাকেই উপহার হিসেবে গাড়ি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। চলতি মাসের ১০ তারিখ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। যে পরীক্ষায় ১৯ জন পড়ুয়া উত্তীর্ণ হয়েছে। ওই পড়ুয়াদের পরীক্ষার জন্য তৈরি করেছিলেন ওই শিক্ষিকা। তাই ফল বেরনোর পরই আপ্লুত হয়ে শিক্ষিকার হাতে গাড়ির চাবি তুলে দিলেন গ্রামবাসীরা।
তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও পড়ুয়াদের সাফল্যের জন্য স্কুলের শিক্ষিকাদের হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পুণে নিউজলাইন-কে এ ব্যাপারে ওই শিক্ষিকা জানিয়েছেন, তাঁর আরও চারজন সহকর্মী আগে বিভিন্ন উপহার পেয়েছেন। তিনি বলেন, "বহু বছর ধরে এই স্কুলে কাজ করছি। এর আগে গ্রামবাসীরা কখনো দু-চাকার গাড়ি উপহার দিয়েছেন তো কখনো ফ্রিজ দিয়েছেন। গত চার বছর ধরে ওঁরা গাড়ি দিচ্ছেন।"
আরও পড়ুন, কেরালার বন্যা আক্রান্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহে মঞ্চে গাইলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি
ওই শিক্ষিকা আরও জানান যে, স্কলারশিপ পরীক্ষার জন্য তাঁরা আগেভাগেই পড়ুয়াদের প্রস্তুতি শুরু করেন। এমনকি দীপাবলীর সময়ও ক্লাস বন্ধ রাখা হয় না। গত কয়েক বছরে স্কুলের পড়ুয়ারা যে পরীক্ষায় দারুণ রেজাল্ট করছে, সেকথাও জানান তিনি। গত বছর ওই স্কুলের ২১ জন পড়ুয়া স্কলারশিপের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
স্কুলে এথন প্রায় ৩৫০ জন পড়ুয়া রয়েছে। এ প্রসঙ্গে এলাকার স্কুলের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান জানান, স্কুলের উন্নয়নের জন্য গত কয়েকবছর ধরে প্রায় ১ কোটি টাকা গ্রামবাসীরা খরচ করেছেন।