Advertisment

মহাত্মার অসুস্থ আত্মীয়কে সরকারি দফতরের দোতলায় তলব ঘিরে বিতর্ক

পরিমল দেশাই বিগত চার মাস ধরেই চেষ্টা করছেন তাঁদের নতুন চ্যারিটির জন্য রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার। সোমবার বিকেলে ডঃ শিব এবং কানু রামদাস গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সমস্ত সদস্যরা শিবলক্ষ্মী গান্ধীকে নিয়ে পৌঁছলেন সুরাটের  অ্যাসিস্ট্যান্ট চ্যারিটি কমিশনারের দফতরে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
shivalaxmi gandhi

সম্পর্কে তিনি মহাত্মার পৌত্র পত্নি শিবলক্ষী গান্ধী। বয়স ৯২। হুইল চেয়ারে বন্দি জীবন। মহাত্মার সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তা খতিয়ে দেখতে শিবলক্ষ্মীকে ডেকে পাঠানো হল সুরাটের এক আধিকারিকের বহুতলীয় কার্যালয়ের দ্বিতলে। গুজরাতে এক চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নথিভুক্তিকরণ নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন শিবলক্ষ্মী দেবী।

Advertisment

চলাফেরা করার মতো অবস্থায় না থাকায় শিবলক্ষী গান্ধীর প্রতিনিধি হিসেবে পরিমল দেশাইকে পাঠানোয় সরকারি দফতরে তাঁকে শুনতে হয়, "গান্ধীর নাম ব্যবহার করা হচ্ছে "।

পরিমল দেশাইকে সুরাটের অ্যাসিস্ট্যান্ট চ্যারিটি কমিশনার আরভি প্যাটেল প্রশ্ন করেন, "সর্দার প্যাটেলের শিষ্যরা কোনোদিন তাঁর নাম নেয়নি। গান্ধীর নাম কেন ব্যবহার করছেন তাঁর অনুগামীরা?"

প্রসঙ্গত পরিমল দেশাই বিগত চার মাস ধরেই চেষ্টা করছেন তাঁদের নতুন চ্যারিটির জন্য রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার। সোমবার বিকেলে 'ডঃ শিব এবং কানু রামদাস গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্টে' এর সমস্ত সদস্যরা শিবলক্ষ্মী গান্ধীকে নিয়ে পৌঁছলেন সুরাটের  অ্যাসিস্ট্যান্ট চ্যারিটি কমিশনারের দফতরে। এবারে কাজ হতে সময় লাগল ১০ মিনিট।

কয়েক মাস আগেই শিবলক্ষ্মী দেবী পরিমল দেশাইকে তাঁর মনবাসনার কথা জানান। জীবনের সব সঞ্চয় এবং পেনশনের টাকা দিয়ে সুরাটের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পড়াশোনা চালানোর সংস্থা তৈরি করতে চেয়েছিলেন শিবলক্ষ্মী দেবী।

বায়োকেমিস্ট্রিতে ডক্টরেটধারী ডঃ শিবলক্ষী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। স্বামী কানু গান্ধী মারা যাওয়ার পর এখন সুরাটের ভীমরদ গ্রামের পাকাপাকি বাসিন্দা। কানু গান্ধী মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় গণিতজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আর পড়ুন, Lok Sabha Elections 2019: সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার রুখতে মাঠে নামল কমিশন

নিজের বয়স এবং শারীরিক অক্ষমতার কথা মাথায় রেখেই ডঃ শিবলক্ষ্মী পরিমল দেশাই এবং তাঁর ছেলে হার্দিক দেশাইকে ট্রাস্টের নথিভুক্তিকরণের ব্যাপারে জোর দেন।

চার মাস ধরে পরিমল দেশাই হন্যে হয়ে ঘোরার পর অবশেষে এক মাস আগে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আরভি প্যাটেল দেশাইকে জানান, শিবলক্ষ্মী দেবীকে সশরীরে দফতরে আসতে হবে। প্যাটেলের দফতর দ্বিতলে অবস্থিত এবং সিঁড়ি ছাড়া ওপরে ওঠার অন্য কোনো উপায় নেই।

পরিমল দেশাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "আমি জানিয়েছিলেম ডঃ শিবলক্ষ্মী দেবীর ৯২ বছর বয়স, এবং উনি অফিসে আসতে পারবেন না। আমি অনুরোধ করি দফতর থেকে লোক পাঠিয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসা এবং বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার, কিন্তু আরভি প্যাটেল জানিয়ে দেন তেমন কোনও উপায় নেই। তখন আমি জানাতে বাধ্য হই উনি গান্ধী জির পৌত্র পত্নি, এবং বলি উনি সুরাটে একটি ট্রাস্ট খুলতে চান"। তাঁর উত্তরেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সর্দার প্যাটেলের প্রসঙ্গ তোলেন।

অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার নিজে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি। শুধু বলেছেন, "ওঁদের শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে"। এরপর আবার ফোন করার চেষ্টা করলে সুইচড অফ পাওয়া যায় তাঁর ফোন।

Read the full story in  English

Mahatma Gandhi
Advertisment