মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে দুর্ঘটনায় আরও একজনের দেহ উদ্ধার করা হল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হল নিখোঁজ গৌতম মণ্ডলের দেহ। মেট্রোর নির্মীয়মাণ প্রকল্পের কর্মী হিসেবে গৌতম মণ্ডল (৪৫) কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। গৌতমের বাড়ি মুর্শিদাবাদে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এদিন সকালে দুর্ঘটনাস্থল থেকে গৌতমের দেহ উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই তাঁকে চিহ্নিত করা হয় বলে লালবাজার জানিয়েছে। এ নিয়ে মাঝেরহাটে সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩।
বুধবার সন্ধেয় দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল মেট্রোর নির্মাণ প্রকল্পের আরেক শ্রমিক প্রণব দে'র (২৪) দেহ। মঙ্গলবার ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর থেকেই গৌতম ও প্রণব নিখোঁজ ছিলেন। অন্যদিকে, দুর্ঘটনার দিনই এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় বেহালার বাসিন্দা সৌমেন বাগের। লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে, মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন মোট ২৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি ১১ জনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারান বেহালার সৌমেন বাগ।
আরও পড়ুন, Majherhat Kolkata Bridge Collapse Live Updates: আরও একটি দেহ উদ্ধার সেতুর ধ্বংসস্তূপ থেকে
এদিকে, আজ নবান্নে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ নবান্নে পিডব্লিউডি, কেএমডিএ ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনা নিয়েই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে শহরের বিভিন্ন সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট তলব করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
উত্তরবঙ্গের পাহাড় থেকে ফিরে গতকাল সরাসরি মাঝেরহাটে দুর্ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের শেষে তিনি বলেন, ''এটা খুব বড় দুর্ঘটনা হতে পারত।" গতকালই দুর্ঘটনায় মৃত সৌমেন বাগের পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনাস্থল থেকেই মমতা ঘোষণা করেন মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের কথা।