নোভেল করোনাভাইরাস রোধে এইডস-এর প্রতিষেধককে ভারতে আর আগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হচ্ছে না। বদলে, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও অ্যাজিথ্রোমাইসিনের সমাহারকেই করোনারোধী চিকিৎসার প্রতিষেধক বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগে, ভারতে করোনা আক্রান্ত অতি সঙ্কটজনক রোগীদের এইচআইভি-র প্রতিষেধক রিটোনাভির-লোপিনাভির সংমিশ্রণ প্রয়োগের কথা বলা হয়েছিল। যা বর্তমানে বাতিল করা হয়েছে।
পরিমার্জিত গাইড লাইনে বলা হয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে কোনও নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল করোনা মোকাবিলায় কার্যকরী হিসাবে প্রমাণিত হয়নি। তবে, প্রাপ্ত তথ্য অনুশারে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও অ্যাজিথ্রোমাইসিনের সমাহার করোনা জীবাণু রোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে।
আরও পড়ুন: হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খেলে কোভিড ১৯ সারবে, কে বলল?
মার্চের মাঝামাঝি ভারতে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে আক্রান্তদের শরীরে এইডসের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল। ভারতে করোনা আক্রান্ত দুই ইটালিয়র শরীরে ইতিমধ্যেই লোপিনাভির ও রিটোনাভির সংমিশ্রণ প্রয়োগ করা হয়। এই সংমিশ্রণ এইচআইভির দ্বিতীয় সারির ওষুধ বলে বিবেচিত। রোগীদের অনুমতি নিয়েই এই ওষুধ প্রয়োগ হয়েছে বলে জানা যায়। রোগীদের শারীরিক অবস্থায় কথা বিবেচনা করেই এই পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছিল।
অ্যাজিথ্রোমাইজিন অ্যান্টিবায়োটিক। অন্যদিকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ম্যালেরিয়ার অন্যতম ওষুধ। জানা গিয়েছে, কোভিড-১৯- প্রতিরোধে অংশ হিসাবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও অ্যাজিথ্রোমাইসিনের সমাহার বিভিন্ন দেশে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। যাতে নজর রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু)।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক: পরিযায়ী শ্রমিকদের কাউন্সেলিংয়ের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
গত সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন হাইড্রোক্লোরোকুইন-অ্যাজিথ্রোমাইসিনের কম্বিনেশন কোভিড ১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
ভারতের প্রস্তাব ছিল, কোভিড-১৯ এর ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনকে উপসর্গহীন যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড ১৯ রোগীর সংস্রবে আসছেন, তাঁদের ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল। কোভিড ১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসা উপসর্গহীনদের ক্ষেত্রেও একই বিধি মানতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, বেশি ঝুঁকির মধ্যে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সুরক্ষার জন্য ব্যাতিক্রমী ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
Read the full story in English