খোদ মমতাই তৃণমূলে বিভেদের শিকার! কেন? খোলসা করলেন স্বয়ং নেত্রী

সুরাহা চেয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছেও দরবারও করেছিলেন নেত্রী। কিন্তু তা ধোপে টেঁকেনি।

সুরাহা চেয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছেও দরবারও করেছিলেন নেত্রী। কিন্তু তা ধোপে টেঁকেনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Retired teachers sent letter to Cm Mamata Banerjee for announce DA

শাসকের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, ভাতারে রুদ্ধ উন্নয়ন।

খোদ দলনেত্রীই নাকি সংগঠনে বিভেদের শিকার। চেতলার কর্মীসভায় এমনটাই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। কেন এই বিভেদ? মঞ্চে হাজির সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যয়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সামনেই এ নিয়ে হাসি মুখে সরব হতে দেখায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে।

Advertisment

তৃণমূলে চালু হয়েছে 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য এই নীতি কার্যকর হয়নি। দলের সুপ্রিমো তিনি। সংগঠনে তাঁর নির্দেশই শেষ কথা। অন্যদিকে, এখনও বিধায়ক হতে না পারলেও মুখ্যমন্ত্রীরও দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে তাঁকে।

আরও পড়ুন- ‘কেন গ্রেফতার করা যাবে না, ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র না কি?’, নাম না করে শুভেন্দুকে তোপ মমতার

Advertisment

এই প্রসঙ্গেই বলতে গিয়ে কর্মীসভায় তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'সবার জন্য ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ আর আমার জন্য বলবে চেয়ারম্যানও থাকতে হবে, আবার মুখ্যমন্ত্রীও থাকতে হবে। আমি বললাম কেন? আমার সঙ্গে এই বিভেদ কেন? সে ওঁরা শুনবে না। জিজ্ঞেস করুন সামনা-সামনিই বলছি।'

আরও পড়ুন- ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে বামপ্রার্থী সিপিএম-র যুবনেতা শ্রীজীব বিশ্বাস

দলীয় নীতি সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। তাই দায়িত্ব ছাড়তে চেয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছেও দরবারও করেছিলেন তিনি, কর্মীসভায় সেকথাও খোলসা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, 'আমি ওঁদের বলেছিলাম আর কত, এবার ছেড়ে দিন না, কী দরকার? আমি তো এতদিন করলাম, আপনারা সব করুন, আমিই সবটাই দেখে করে দেব। বলল, না কোনও মতেই হবে না। এখন যদি আমি বক্সিদাকে বলি বক্সিদা আমার সঙ্গে ঝগড়া করবেন।'

আরও পড়ুন- ‘মহামুর্খের দল’, পুজোর মিটিং নিয়ে বিজেপিকে তোপ মমতার

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নেত্রী হলেও দলের সবার মতামতের ভিত্তিতেই দল ও মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন তিনি। উপনির্বাচনের আগে কার্যত তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অন্যদিকে, 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি কার্যকর করতে গিয়ে জোড়া-ফুলে অন্দরে ব্যাপক রদবদল করতে হয়েছে। একাধিক হেভিওয়েট সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বাদ পড়েছেন। প্রকাশ্যে আসছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবরও। নিজের মন্তব্যের মাধ্যমে সেইসব নেতাদেরও সুপ্রিমো বার্তা দিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন