ভাগ্যের কী অদ্ভুত পরিহাস! ভূমিষ্ঠ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অকালে মারা যায় নিজের সদ্যজাত কন্যা। শোকে বিহ্বল বাবা কান্না চেপে সমাধিস্থলের মাটি খুঁড়ে মেয়েকে সমাধিস্থ করতে যাবেন ঠিক সেই সময় তিন ফুট নীচের একটি মাটির হাড়ি থেকে পেলেন অপর এক জীবন্ত শিশুকন্যাকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া শিশুকন্যাকে জীবন্ত অবস্থাতেই সমাধিস্থ করে রেখে গিয়েছিলেন পরিবার।
ঠিক কী ঘটেছে?
উত্তরপ্রদেশের পুলিশ সুপার (সিটি) অভিনন্দন সিং জানান, হিতেশ কুমার সিরোহী নামের এক ব্যবসায়ী নিজের সদ্যজাত মৃত কন্যাকে সমাধিস্থ করতে গিয়ে সেখান থেকেই উদ্ধার করেন অপর নবজাতিকাকে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হিতেশ-এর স্ত্রী বৈশালী বারেলিতে সাব ইনস্পেক্টর পদে কর্মরত। বুধবার বৈশালীর প্রসবযন্ত্রণা শুরু হলে তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সেখানেই সাত মাসের প্রিম্যাচিউর কন্যার জন্ম দেন বৈশালী। কিন্তু জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় সদ্যজাত কন্যাটি।
আরও পড়ুন- জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ড: বন্ধুর ‘অভিশপ্ত বাড়ির’ দিকে তাকাচ্ছেন না আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা
এরপরই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজের মৃত কন্যাকে সমাধিস্থ করতে এসে গর্ত খুঁড়তেই মাটির তিন ফুট গভীরে দেখতে পায় একটি মাটির হাঁড়ি যেখানে একটি শিশুকন্যা শুয়ে আছে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন হিতেশ। এসপি অভিনন্দন সিং বলেন, "সদ্যজাত কন্যার বাবা-মা, যারা তাঁকে জীবিত কবর দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে মেয়েটিকে প্রাণে বাঁচানো গেছে। আমরা চেষ্টা করছি ওর মায়ের খবর পাওয়ার।"
আরও পড়ুন- পুকুরে ভেসে উঠল মায়ের দেহ, আটক দুই মেয়ে
অন্যদিকে, বারেলির চিফ মেডিকেল অফিসার বিনীত শুক্ল সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, উত্তরপ্রদেশের বিঠারি চিনপুরের বিধায়ক রাজেশ মিশ্র ইতিমধ্যেই শিশুকন্যাটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। সিএমও আরও বলেন, "শনিবার শিশুটিকে আরও উন্নত মানের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এখন তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়েছে।" সিনিয়র পুলিশ সুপার শৈলেন্দ্র পাণ্ডে বলেন, যারা শিশুকন্যাটিকে জীবিত অবস্থায় সমধিস্থ করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
Read the full story in English