Advertisment

বিচারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের বাইরে গায়ে আগুন, মৃত্যু হল অগ্নিদগ্ধ যুবকের

তাঁর সঙ্গে থাকা তরুণী ৮০ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে ভেন্টিলেশনে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

কয়েক দিন আগেই মর্মান্তিক ঘটনায় শিউরে ওঠেন সবাই। সুপ্রিম কোর্টের বাইরে বন্ধুর সঙ্গে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন ২৭ বছরের এক যুবক। শনিবার হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁর। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই স্নাতক দিল্লিতে এসেছিলেন গত সোমবার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ২৪ বছরের এক ধর্ষিতা। দুজনেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন গায়ে।

Advertisment

সুপ্রিম কোর্টের ৪ নম্বর গেটের কাছে এই ঘটনার ফেসবুক লাইভ করে তাঁরা দেখান, ওই তরুণী ঘোসির সাংসদ অতুল রাইয়ের যৌন লালসার শিকার হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের শীর্ষ আইপিএস আধিকারিক তাঁদের অভিযোগের উপর কোনও পদক্ষেপ করছেন না বলে অভিযোগ ছিল তাঁদের। শনিবার ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে অগ্নিকাণ্ডের জেরে। তরুণী অগ্নিদগ্ধ হয়ে এখনও ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। সেই মুহূর্তেই অস্ত্রোপচার করেন তাঁরা। অস্ত্রোপচারের পর তাঁদের বার্ন বিভাগে পাঠানো হয়। কিন্তু যুবক মারা যান। তরুণী এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি। তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে, বাঁচার আশা খুবই ক্ষীণ।

আরও পড়ুন বাল্মীকির সঙ্গে তালিবানদের তুলনা, থানায় অভিযোগ, বিপাকে উর্দু কবি

এদিকে, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছেন। কিন্তু এখনও নির্যাতিতার অভিযোগ রেকর্ড করা যায়নি। উত্তরপ্রদেশ সরকার দুই সদস্যের কমিটি গড়ে ডিজি পর্যায়ের অফিসারকে মাথায় রেখে এই ঘটনার তদন্ত করছে। তাঁকে দিল্লিতে শুক্রবার পাঠানো হয় ওই তরুণী ও যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য। অভিযোগ, ২০১৯ সালে বিএসপি সাংসদ অতুল রাই এই ধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত। তাঁর জেলও হয়।

গত নভেম্বরে সাংসদের ভাই তরুণীর নামে পাল্টা বারাণসীতে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ, জন্ম শংসাপত্র জাল করেছেন তরুণী। এরপর গত ২ আগস্ট স্থানীয় আদালত তরুণীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য সমন ইস্যু করে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

supreme court
Advertisment