সোমবার সকালে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের 'লেভানা হোটেলে' ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। হজরতগঞ্জের ভিআইপি এলাকায় এই হোটেলটি অবস্থিত। এই অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই দমকলের ৬টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এখনও ২০ জনেরও বেশি মানুষ হোটেলের ভিতরে আটকে আছে।
কীভাবে আগুন লাগলো তা এখনও জানা যায়নি। তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান শর্টসার্কিট থেকে আগুন ধরে যায় বিলাসবহুল হোটেলটিতে। হোটেলের জানালার কাঁচ ভেঙে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে চারটি অ্যাম্বুলেন্স। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এখন পর্যন্ত এই আগুন লাগার ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
লখনউ জেলা শাসক সূর্যপাল গাঙ্গওয়ার বলেছেন যে কিছু লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ভিতরে আটকে পড়া মানুষজনদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। লখনউ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত এই বিলাসবহুল হোটেলে আগুন লাগাড় ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়।
আরও পড়ুন : < ‘শিক্ষক রত্ন’ সম্মান পাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের এক হাইমাদ্রাসা ও এক প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক >
হোটেলের ২১০ নম্বর রুমে থাকা ওই ব্যক্তি জানান, হোটেলে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি আমার রুম থেকে করিডোরে আসি। সেখানে প্রচুর ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার জো। আবার আমি রুমেই ফিরে আসি। সেখান থেকে আমাকে একটা জানালা দিয়ে বের করে আনেন দমকলকর্মীরা সকাল সাতটায় হোটেলের কর্মীরা আগুন লাগার খবর জানান।
প্রত্যক্ষদর্শী যা বলেছেন
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সকালে জানতে পারি হোটেলে আগুন লেগেছে। আমরা দ্বিতীয় তলায় ছিলাম। তিনি জানান, পুরো ফ্লোর ধোঁয়ায় ভরে গেছে। হোটেলের কর্মীরা আমাদের তৃতীয় তলায় যেতে বলেন। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল সমগ্র হোটেল। তিনি জানান, কোনোরকমে তিন-চারজনকে নিয়ে নিরাপদে বেরিয়ে আসেন তিনি। আগুনে দুই-তিনজন অজ্ঞান হয়ে গেছে বলে জানান তিনি। নিজেকে বিজেপি নেতা বলে দাবি করা এই ব্যক্তি জানিয়েছেন যে তিনি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠককে ফোন করে ঘটনার কথা জানিয়েছেন। এরপর প্রশাসন তৎপর হয়।