কৃষ্ণ জন্মভূমি থেকে মসজিদ সরানোর মামলায় বড় পদক্ষেপ মথুরার আদালতের। শুক্রবার মথুরা জেলা আদালতের বিচারক মামলাটি গ্রহণ করেছেন। মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের জন্মভূমির অধিকার এবং সেই জমিতে অবস্থিত মসজিদ সরানোর দাবিতে এই মামলা দায়ের হয়েছিল। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মামলাটির বিষয় প্রথম খবর হয়। তখন শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের তরফে তাঁর ভক্তদের একটি প্রতিনিধি দল মথুরার আদালতে মামলা দায়ের করেন। কৃষ্ণ জন্মভূমির জমি থেকে ইদগা সরানোর দাবি জানিয়ে মামলা করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি ছিল, সপ্তদশ শতাব্দীতে মন্দিরের একাংশ ভেঙে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মসজিদ বানানোর নির্দেশ দেন।
যদিও গত ২ অক্টোবর মথুরার আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক ছায়া শর্মা তখন মামলাটি খারিজ করে দেন। মামলাকারীদের কোনওভাবে পাত্তা দিতে রাজি হননি বিচারক। কিন্তু শুক্রবার বিচারক সাধনা রানি মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। আগামী ১৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, মামলায় দাবি ওঠে, মসজিদ ট্রাস্ট কিছু মুসলিমদের সহযোগিতায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান ট্রাস্টের অন্তর্গত কাটরা কেশব দেবের সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ বা দখলদারি করেছে। এই জমি দখল করার কোনও অধিকার মসজিদ ট্রাস্টের নেই।
আরও পড়ুন মেয়েদের বিয়ের ন্যুনতম বয়স নিয়ে শীঘ্রই বড় সিদ্ধান্ত নেবে মোদী সরকার
১৯৬৮ সালের ১২ অক্টোবর মসজিদ ট্রাস্টের লোকজন শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংঘের মদতে এই জমি দখল করেছে। ভক্ত এবং বিগ্রহের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করা হয়েছে। হাজার বছরের হিন্দু আইন অনুযায়ী, বিগ্রহের সম্পত্তিতে কেউ দখলদারি করতে পারে না। কোনও স্থাপত্য নষ্ট করাও যাবে না। এবং যে কোনও মুহূর্তে সেই সম্পত্তি পুনরুদ্ধার যোগ্য। পিটিশনে আরও উল্লেখ, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে উত্তর ভারতে বহু হিন্দু ধর্মীয় স্থান ধ্বংস করা হয়েছে। কাটরা কেশব দেবে স্থিত শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরও ১৬৬৯-৭০ সালের মধ্যে মুঘল সেনা আংশিক ধ্বংস করে। এবং বলপূর্বক সেখানে শাহী ইদগা মসজিদ নির্মাণ করে। বস্তুত, এই মামলার জেরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মথুরায়। হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং সাধু-সন্তরা কিছুদিন আগেই অযোধ্যার মথো কাশী-মথুরা পুনরুদ্ধার করার ডাক দিয়েছিলেন। তারই জেরে এই মামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন