Mayawati On Waqf Act: ওয়াকফ আইন নিয়ে কেন নীরব বিরোধীরা? প্রশ্ন তুলে গর্জে উঠলেন বহুজন সমাজ পার্টি সুপ্রিমো তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী শনিবার বিএসপি সুপ্রিমো কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আনা ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিষয়ে বিরোধীদের নীরবতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে সরাসরি নিশানা করে মায়াবতী বলেন, 'সংসদে যখন এই বিল নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলছিল, তখন বিরোধী দলনেতা কিছু বলার প্রয়োজন মনে করেননি'।
মায়াবতী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে বলেছেন, বিরোধী নেতার এই নীরবতা মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এক বড় আঘাত। এই বিলের বিষয়ে বিরোধী দলগুলি যেভাবে নীরব ছিল, তা কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যই অস্বস্তিকর নয়, বরং তা ইন্ডিয়া জোটেরও অস্বস্তির কারণ হতে পারে। মায়াবতী এই নীরবতাকে সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) এর মতো সংবিধান বিরোধী বিষয়ের সাথে তুলনা করেছেন।
মায়াবতী কংগ্রেস এবং বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, দেশে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষায় সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করে দু' দল-ই বহুজনদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও এই দলগুলির কৌশল সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত।
উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএসপি সুপ্রিমো। তিনি বলেন, রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে বহুজন সম্প্রদায়ের মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এর পাশাপাশি, তিনি বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য সরকারি বিভাগের দ্রুত বেসরকারিকরণের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন যে এর ফলে সাধারণ মানুষের উপর বোঝা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
সরকারের কাছে মায়াবতীর দাবি
মায়াবতী সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন যে সংবিধানের অধীনে জনকল্যাণের দায়িত্ব পূর্ণ সততার সাথে পালন করা উচিত এবং সমাজের দুর্বল অংশের মানুষকে আরও বেশি করে অধিকার প্রদান করা উচিত। উল্লেখ্য একাধিক বিরোধী দল প্রথমে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, কিন্তু লোকসভায় আলোচনার সময় বিরোধী নেতাদের নীরবতার প্রশ্নে মায়াবতীর এই গর্জন নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বিএসপি আবারও বহুজন স্বার্থের কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজেকে জাহিরের চেষ্টা করছে।